ভারত যুদ্ধ চায় না। তবে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন ছিল! চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে এমনই জানালেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। অন্য দিকে, ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ‘মধ্যস্থতা’ করার ইচ্ছেপ্রকাশও করল চিন। ওয়াং জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতপার্থক্য দূর করবে। শুধু তা-ই নয়, দুই দেশই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পথে হাঁটবে বলে আশাবাদী বেজিং!
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনের মৃত্যুর পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ভারত এই জঙ্গি হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে পাকিস্তান প্রথম থেকেই অস্বীকার করছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরই জঙ্গিদমনে তৎপর হয় ভারত। তার ফলস্বরূপ ‘অপারেশন সিঁদুর’। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। তার পর থেকেই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ শুরু করে। সীমান্ত হোক বা আকাশপথে ড্রোন হামলা অব্যাহত ছিল।
চার দিন টানা গোলাবর্যণের পর শনিবার ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম এই ঘোষণা করে। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়। আবার সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টার সময় দুই দেশই আলোচনায় বসবে। তবে তত ক্ষণ পর্যন্ত স্থল, জল এবং আকাশপথে জারি থাকবে অস্ত্রবিরতি।
আরও পড়ুন:
সেই আবহেই ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলে চিন। ডোভালের সঙ্গে যেমন ফোনে কথা বলেছেন ওয়াং ই, তেমনই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ভারতের যুদ্ধ না চাওয়ার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়াং। তবে একই সঙ্গে পকিস্তানের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছে তিনি। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষায় তাদের পাশে আছে চিন। তিনি এ-ও দাবি করেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে পাকিস্তান। সংঘর্ষবিরতি পর চিনের অবস্থানকে অনেকে ‘দু-মুখো’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।