অখিলেশ সিংহ যাদব (বাঁ দিকে) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। -ফাইল ছবি।
এক মাসের মধ্যে রাজ্যে দু’জন পুলিশকর্মীর খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই দুষলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। বললেন, ‘‘যোগী কথায় কথায় বলেন, গুলি চালিয়ে দাও। পুলিশও তাঁর ‘ঠোক দো’ নীতি মেনে চলছে। তার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।’’ তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগে কখনও এত খারাপ হয়নি।
গত কাল গাজিপুরে নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় ডিউটি করছিলেন নিহত হেড কনস্টেবল সুরেশ বৎস। সভায় ঢুকতে না দেওয়ায় বাইরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ‘রাষ্ট্রীয় নিষাদ পার্টি’র সদস্যরা। জনসভা থেকে গাড়ি বেরনোর সময়ে রাস্তা থেকে বিক্ষুব্ধদের সরাতে গিয়েছিলেন সুরেশ। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথর তাঁর মাথায় লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। ডিজিপি ও পি সিংহ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সিসি-ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত ৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরে গো-হত্যা নিয়ে একটি বিক্ষোভে গুলিতে খুন হন ইন্সপেক্টর সুবোধকুমার সিংহ। অখিলেশের কথায়, ‘‘শহরের কোথায় কী বিক্ষোভ চলছে, পুলিশ-প্রশাসন তো আগে থেকেই জানে। তার পরেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা ছাড়া কী!’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘বদলি হবে বুঝতে পারলেই পুলিশ সংঘর্ষ বাধায়। মুখ্যমন্ত্রীই তো সর্বত্র পুলিশকে ‘ঠোক দো’ নীতির কথা বলছেন।’’
পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর রাকেশ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় নিষাদ পার্টির সদস্য। রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলার আগে অখিলেশের মনে রাখা উচিত, নিষাদ পার্টি তো সমাজবাদী পার্টিরই শরিক দল।’’
খুনের পরামর্শ উপাচার্যের : গোলমালের সময় প্রয়োজন পড়লে পিটিয়ে খুন করতে হবে— পড়ুয়াদের এমনই পরামর্শ দিলেন উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজারাম যাদব। শনিবার গাজিপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারে তিনি বলেন, ‘‘তোমরা যদি পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হও, তা হলে কখনও কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে আসবে না। কোথাও কারও সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়লে পিটিয়ে দিয়ে আসবে। যদি সম্ভব হয়, পিটিয়ে খুন করে চলে এসো, পরে আমরা দেখে নেবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy