অটলবিহারী বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মদিবস উপলক্ষে আজ লখনউয়ে জাতীয় প্রেরণা স্থলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে বাজপেয়ী ছাড়াও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মূর্তি রয়েছে। রাজনীতিকদের মতে, ওই তিন ব্রাহ্মণ নেতার মূর্তি উন্মোচন করে উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ সমাজের ক্ষোভ কিছুটা হলেও দূর করার চেষ্টা করলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
প্রায় ন’বছরের চেষ্টায় ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ৬৫ ফুট উঁচু তিনটি মূর্তির আবরণ এ দিন উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। যোগীর আমলে যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে ক্ষুব্ধ উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ সমাজ। সম্প্রতি কুর্মি নেতা পঙ্কজ চৌধুরীকে রাজ্য সভাপতি করেছে বিজেপি। তাতে রাজ্যে তাঁদের প্রভাব আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্রাহ্মণরা। চলতি সপ্তাহে রাজ্যের শাসক দলের ব্রাহ্মণ বিধায়কেরা লখনউয়ে বৈঠকও করেন। আজ তিন ব্রাহ্মণ নেতার মূর্তি স্থাপনে সেই ক্ষত কিছুটা হলেও প্রশমিত করার চেষ্টা করলেন মোদীরা।
উত্তরপ্রদেশে মূর্তি-রাজনীতি নতুন নয়। অতীতে দলিত নেত্রী মায়াবতী লখনউয়ে তাঁর রাজনৈতিক গুরু কাঁসিরামের বিশাল মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। সমাজবাদী পার্টিও উত্তরপ্রদেশ জুড়ে রামমনোহর লোহিয়ার একাধিক মূর্তি স্থাপন করেছিল। সেই দৌড়ে এ বার যোগ দিল বিজেপিও।
আজ নিজের বক্তব্যে পরিবারবাদ প্রসঙ্গেও সরব হন মোদী। তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনে যে নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, কংগ্রেস শাসনে তাঁদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। মোদীর কথায়, “সমস্ত ধরনের সরকারি প্রকল্প, প্রতিষ্ঠান, সড়ক, জনবহুল স্থান-সব একটি পরিবারের নামে করা হয়।” মোদীর দাবি, তাঁদের সরকার আসার পরে পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে অবহেলিত নেতাদের সম্মান জানানো হচ্ছে। তাঁর আমলে যেমন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি বসানো হয়েছে ইন্ডিয়া গেটে।আর এক পরিবারবাদী দল সমাজবাদী পার্টিও বি আর অম্বেডকরের ভূমিকা মুছে দিতে তৎপর ছিল বলে অভিযোগ করেন মোদী। তাঁর দাবি, বিজেপি তা হতে দেয়নি। বিজেপি দল নির্বিশেষে সব নেতাদের সম্মান দিয়েছে। সে কারণে নরসিংহ রাও, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতোকংগ্রেসি নেতারা বিজেপির শাসনে ভারতরত্ন পেয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)