করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘুরে দেখলেন অসম বিধানসভার ন’জনের একটি সর্বদলীয় বিধায়ক দল। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ভি বি পায়রায়েল, অসম পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক এ পি রাউত।
আগামী কাল সকাল ন’টায় সীমান্তবর্তী কারখানাপুতনি, মদনপুর এলাকা পরিদর্শন করবেন তাঁরা। করিমগঞ্জ জেলায় মোট ১০৫ কিলোমিটার স্থল এবং জল সীমান্ত রয়েছে। পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার কিছু এলাকা-সহ করিমগঞ্জ শহরের কুশিয়ারা নদীর জল-সীমান্ত এখনও উন্মুক্ত। তবে সীমান্তের অন্যান্য অংশ কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। উত্তর করিমগঞ্জ বিধানসভা এলাকার জারাপাতা, জগন্নাথি এলাকায় বেশ কিছু ভারতীয় পরিবার বেড়ার ও পারে বসবাস করছেন। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে থাকার ফলে তাদের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রাকৃতিক বিপদ কিংবা চিকিৎসার জন্য কোন রোগীকে সেখান থেকে আনতে হলে বিএসএফের অনুমতি ছাড়া তা সম্ভব নয়। করিমগঞ্জ জেলার জগন্নাথি, জারাপাতার এই সমস্যাও খতিয়ে দেখবেন প্রতিনিধিদলটি। দলে রয়েছেন বিধায়ক গুণীন্দ্রনাথ দাস, মিহিরকান্তি সোম, জামালুদ্দিন আহমেদ, বীরভদ্র হাগজের, নুমাল মুমিন, আনোয়ার হুসেন লস্কর, নীরেন সোনোয়াল, কৃপানাথ মালাহ, রবীররাম নার্জারি।
করিমগঞ্জ জেলার কুশিয়ারা নদী সীমান্তের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সীমান্ত উন্মুক্ত। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া বসাতে সমস্যা হচ্ছে। এক দিকে যেমন নদীর তীরে কাঁটাতারের বেড়া বসাতে বাংলাদেশের আপত্তি। ঠিক সে ভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ১৫০ মিটার সীমান্ত বাদ দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া বসানো হলে কয়েক হাজার পরিবার চলে যাবেন বেড়ার ও পারে। জেলা দায়রা জজের আদালত, করিমগঞ্জ জেলার মূল ডাকঘর—সব কিছুই বেড়ার বাইরে চলে যাবে। এই সমস্যাও তাঁরা চাক্ষুষ করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy