হয় রায় ইংরেজিতে লিখুন, না হলে হিন্দিতে। যে কোনও একটি ভাষায় লিখিত নির্দেশ দিন। ‘হিংলিশ’ ভাষায় রায় লিখবেন না। উত্তরপ্রদেশের নিম্ন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে ঠিক এমনই মন্তব্য করল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।
সম্প্রতি পণের জন্য খুনের একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। বিচারপতি রাজীব মিশ্র এবং বিচারপতি অজয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ বেদপ্রকাশ ত্যাগী নামে এক জনের মামলা শুনছিল। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া এই মামলাটির রায়ের কাগজপত্র দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাই কোর্ট। দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ইংরেজি এবং হিন্দি মিশিয়ে রায় লিখেছেন বিচারকেরা।
আদালত বলে মূলত হিন্দিভাষী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে নিম্ন আদালতগুলি যদি রায় এবং নির্দেশ হিন্দিতে লেখে, তা সাধারণ মানুষের (মামলাকারীদের) বুঝতে সুবিধা হবে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ‘‘হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দিতে রায় লেখার মূল উদ্দেশ্য হল সাধারণ মামলাকারীরা আদালতের রায় এবং তাঁদের দাবি মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কারণগুলি বুঝতে পারেন। কিন্তু এমন জগাখিচুড়ি ভাষা কারও বোধগম্য হওয়ার কথা নয়।’’ এর পরই আগরার একটি দায়রা আদালতের রায় লেখা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘‘আংশিক ইংরেজি এবং আংশিক হিন্দিতে রায় লেখার ক্লাসিক উদাহরণ আগরার এই আদালত।’’ এর পর হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, গত ২৯ অক্টোবরের প্রদত্ত রায়ের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান বিচারপতির সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করা হোক। তা ছাড়া উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে জড়িত সকল পদস্থের উদ্দেশে হাই কোর্টের নির্দেশ, এ বার থেকে রায়, নির্দেশ কিংবা নোটিস হয় হিন্দি, না হলে ইংরেজিতে লিখতে হবে। দুটো ভাষা মিলিয়ে সরকারি নথি লেখা বাঞ্ছনীয় নয়।