এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের পরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কী বিপর্যয় হতে পারে সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, উচ্চতর আদালত ও সরকার বুঝতেই পারেনি, এমনটাই পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের। আর কমিশন বুঝতে না পেরেই বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের অনুমতি দিয়েছে বলেই সমালোচনা করেছে আদালত।
এই পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মার সিঙ্গল বেঞ্চের। বিচারপতি বলেন, ‘‘শহরাঞ্চলে সংক্রমণ মোকাবিলায় কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই মুহূর্তে গ্রামীণ এলাকায় নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণের উৎস সন্ধান ও আক্রান্তদের চিকিৎসাও যথেষ্ট কঠিন কাজ। আগে থেকে এর প্রস্তুতি নেয়নি সরকার।’’
উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনেক ব্যক্তিও সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি বলেন, ‘‘রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন গ্রামীণ এলাকায় অনেক এফআইআর দায়ের হয়েছে। গোটা পরিস্থিতি বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া অনেক ব্যক্তিই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। তাঁদের সংক্রমণ হয়তো ধরা পড়েনি।’’
অন্য দিকে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদনে নির্বাচন কমিশন জানায়, আদালতের পর্যবেক্ষণ যেন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত না হয়। সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট বলে, ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে সব থেকে বড় হাত রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাই কমিশনের বিরুদ্ধে ‘খুনের মামলা’ দায়ের হওয়া উচিত। এই পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে বিরোধীরা কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়। সেই প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy