Advertisement
E-Paper

নির্যাতিতা নিজেই বিপদ ডেকে এনেছেন, দায়ও তাঁরই! ধর্ষণ মামলায় মন্তব্য ইলাহাবাদ হাই কোর্টের

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা। বান্ধবীদের সঙ্গে দিল্লির এক পানশালায় গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তিনি নয়ডার এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। পানশালায় গিয়ে পূর্বপরিচিত কয়েক জন পুরুষের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১০
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অভিযোগকারী নির্যাতিতা নিজেই নিজের সমস্যা ডেকে এনেছিলেন। যে ধর্ষণের অভিযোগ তিনি করছেন, তার দায় তারই! সম্প্রতি এক ধর্ষণ মামলায় এমনটাই মন্তব্য করেছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। মামলায় অভিযুক্তের জামিনও মঞ্জুর করেছে আদালত।

ধর্ষণের মামলায় জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত। তাতে হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয়কুমার সিংহের বেঞ্চ বলেছে, ‘‘নির্যাতিতার অভিযোগকে যদি সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়, তা-ও এটি বলা যেতে পারে পারে যে তিনি নিজেই নিজের বিপদকে ডেকে এনেছিলেন। এর জন্য দায়ী তিনিই। নির্যাতিতার বয়ানে একই অবস্থান রয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা যায়, তাঁর সতীচ্ছদা (হাইমেন) ছিঁড়ে গিয়েছে, তবে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি চিকিৎসক।”

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। অভিযোগকারী তরুণী উত্তরপ্রদেশের নয়ডার এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিন বান্ধবীর সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দিল্লির হাউজ় খাস এলাকায় একটি পানশালায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পূর্বপরিচিত কয়েক জন পুরুষের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়। তরুণীর দাবি, পানশালায় তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রাত ৩টে পর্যন্ত তাঁরা পানশালায় ছিলেন। অভিযোগ, সেখানে ওই পুরুষদের মধ্যে এক জন তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন।

তরুণীর দাবি, তাঁকে নিজের সঙ্গে যাওয়ার জন্যও ওই ব্যক্তি জোরাজুরি করতে শুরু করেন। বার বার অনুরোধ করতে থাকায় তিনি ‘বিশ্রাম নিতে’ ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বাড়িতে যেতে রাজি হয়ে যান। তাঁর দাবি, পানশালা থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত তাঁকে অনবরত খারাপ ভাবে স্পর্শ করতে থাকেন এবং নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বদলে গুরুগ্রামে এক আত্মীয়ের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার পরে নয়ডার এক থানায় অভিযোগ জানান নির্যাতিতা এবং গত বছরের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

যদিও অভিযুক্তের দাবি, তরুণী সেই সময় একা থাকার অবস্থায় ছিলেন না। অভিযোগকারী নিজেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নিতে রাজি হয়েছিলেন বলে দাবি অভিযুক্তের। আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তাঁর দাবি, ধর্ষণ নয়, তরুণীর সম্মতিতেই তাঁরা ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন।

মামলায় হাই কোর্ট জানিয়েছে, অভিযোগকারী তরুণী স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া। পুলিশকে তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, সেটি অনুসারে ‘তাঁর কাজের নৈতিকতা এবং তাৎপর্য’ বুঝতে তিনি যথেষ্ট সক্ষম। এই মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগের প্রকৃতি, প্রমাণ এবং অন্য সব দিক বিবেচনা করে অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করছে আদালত।

Allahabad High Court Court Crime Against Women
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy