Advertisement
E-Paper

হ্যালো, সিবিআই থেকে বলছি! দিল্লিতে ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’র ভয় দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

প্রথমে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তার পরিচয়ে ফোন করা হয়েছিল মহিলাকে। তাতে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সিবিআইয়ের আধিকারিক সেজে মহিলাকে ফোন করা হয় বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৭
দিল্লির মহিলাকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ভয় দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ।

দিল্লির মহিলাকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ভয় দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।

এ বার দিল্লিতে সিবিআই আধিকারিক সেজে এক মহিলাকে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ভয় দেখিয়ে মহিলার থেকে ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে রাজস্থান থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই টাকা মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোথায় গিয়েছে, সেই সূত্র ধরে তদন্ত এগোতে থাকে পুলিশ। তাতেই রাজস্থানের বাসিন্দা ইউসূফ খানের নাম উঠে আসে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

শুরুর দিকে মহিলার কাছে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সদর দফতরের কর্তার পরিচয়ে ফোন আসে। মহিলাকে বলা হয়, ওই ব্যাঙ্কের হায়দরাবাদের এক শাখা থেকে তাঁর নামে একটি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। সেই ক্রেডিট কার্ড থেকে সন্দেহজনক কিছু লেনদেন পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয় মহিলাকে। তিনি তখন বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। এর পরে সিবিআই আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয় তাঁকে। জানানো হয়, তাঁর ক্রেডিট কার্ডটির সঙ্গে একটি আর্থিক দুর্নীতির যোগ রয়েছে। তাই তাঁকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করা হবে বলে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ।

মহিলার অভিযোগ, বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য তাঁর থেকে ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা চাওয়া হয়। ভয়ে এবং বিভ্রান্ত হয়ে মহিলা সেই টাকা দিয়েও দেন। পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। প্রথম স্থানীয় থানায় এবং পরে দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির সাইবার থানায় অভিযোগ জানান তিনি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। ইউসূফের মোবাইল, ব্যাঙ্কের পাসবই, চেকবই-সহ বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

তবে ইউসূফ এই প্রতারণায় মূল অভিযুক্ত নন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রতারণার অর্থ রাখার জন্য তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন সুরেন্দ্র নামে অপর এক ব্যক্তি। তাঁকে ইতিমধ্যে শনাক্তও করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

Digital Arrest Fraud Case Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy