শিল্পপতি গৌতম আদানিকে সমন ধরানোর জন্য আমদাবাদের আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। সমন পাঠিয়েছে আমেরিকার এসইসি (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন)। সেখানে আদানির বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এসইসি এবং নিউ ইয়র্কের বিচারবিভাগ একযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই শিল্পপতির বিরুদ্ধে আইন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাগ্নে সাগর আদানি দু’জনে আদানি গ্রিনস লিমিটেডের পদাধিকার বলে গোপনে ভারতীয় সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে বাজারদরের চেয়ে চড়া দামে বিদ্যুতের চুক্তি হাসিল করেছেন বলে অভিযোগ। তাতে উপকৃত হয়েছে আদানি গ্রিন এবং আ়়জ়ুরে পাওয়ার নামে একটি সৌরশক্তি সংস্থা। এসইসি-র ওয়েবসাইটে বিষয়টি নথিভুক্ত আছে। এ ব্যাপারে নিউ ইয়র্কের একটি জেলা আদালতে আদানিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমেরিকায় কেন এই মামলা হয়েছে? তার কারণ, আদানি গ্রিন আমেরিকান লগ্নিকারীদের থেকে প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার তুলেছে বলে অভিযোগ। আজ়ুরে পাওয়ার-এর শেয়ারও বেচা হয়েছে নিউ ইয়র্কের স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে। আজ়ুরে-র অধিকর্তা সিরিল কাবানেস-এর বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন করেছে এসইসি।
এসইসি তার সমন ভারতে পাঠাতে হেগ কনভেনশনের সাহায্য নিয়েছে। আইনি সহযোগিতার এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতও অন্যতম শরিক। সুতরাং অন্য শরিক দেশের কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় সাহায্যের অনুরোধ এলে সে তা মানতে এক প্রকার বাধ্য। সেই মোতাবেক এসইসি থেকে আসা মোট ২৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের ঘুষ এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলার সমন আদানির স্থানীয় ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমদাবাদ আদালতকে অনুরোধ করতে কার্যত বাধ্য হয়েছে আইন মন্ত্রক। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি বিশেষ নোট যোগ করে ওই সমন আদালতকে পাঠিয়েছে মন্ত্রক। নোটে লেখা হয়েছে, আমদাবাদের জেলা দায়রা আদালতকে এই নথি পাঠানো হচ্ছে যাতে তা অভিযুক্তের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)