তিপ্রা মথার প্রধান তথা ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মণ। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও পরে বিজেপির প্রতি নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল ত্রিপুরার দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তিপ্রা মথা। কিন্তু কেন্দ্র এবং ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে কথা দিয়েও কথা না রাখার অভিযোগে সরব হয়েছে তারা। দলের প্রধান তথা ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মণ জানিয়ে দিয়েছেন, জনজাতিভুক্ত মানুষের অধিকার সংক্রান্ত দাবি পূরণ না হলে রাজ্যে বিরোধী দলের ভূমিকাই পালন করবেন তাঁরা। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন তিনি।
ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে ৩১টি আসন জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল বিজেপি। জনজাতির অধিকার রক্ষার দাবি নিয়ে প্রথম বার নির্বাচনী ময়দানে নেমেই ১৩টি আসন পেয়েছিল তিপ্রা মথা। জোট করে ভোটে লড়ে সিপিএম পায় ১১টি আসন, কংগ্রেস পায় ৩টি আসন। ত্রিপুরার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই জনজাতি। এই জনজাতিভুক্তদের অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিক সমাধানের দাবি তুলেছিলেন প্রদ্যোৎ। কিছু দিন আগেই প্রদ্যোৎ টুইট করে জানিয়েছিলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে ফোন করে আশ্বাস দিয়েছেন যে, জনজাতির অধিকার রক্ষা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালাতে ২৭ মার্চ এক জন মধ্যস্থতাকারীকে নিযুক্ত করা হবে। কিন্তু প্রদ্যোতের অভিযোগ, তার পরেও কেন্দ্রের তরফে কথা রাখা হয়নি।
মাঝে ত্রিপুরার রাজনীতিতে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে বিজেপি সরকারের শরিক হতে চলেছে তিপ্রা মথাও। বিজেপির একটি সূত্রেও দাবি করা হচ্ছিল যে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতর তিপ্রার বিধায়কদের জন্য ফাঁকা রাখা হচ্ছে। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন প্রদ্যোৎ নিজেই। যার অর্থ, দাবি পূরণ না হলে আপাতত ত্রিপুরা বিধানসভায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গেই বিরোধী আসনে বসবে তিপ্রা মথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy