মোদী-উৎসবের বাহানায় দলের জমি শক্ত করতে কুড়ি দিনে ২৫ জন নেতাকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ।
ক’দিন আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তিনি পরিবর্তন আঁচ করে এসেছেন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুবিধা হলেও দলের সংগঠন বাড়াতে সেখানে তিনি বারবার যাবেন। এ বার মোদী সরকারের বর্ষপূর্তিকে ঘিরে অমিত শাহ বেশি জোর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যেই। সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৬ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত দেশে ‘মোদী-উৎসব’ করবে বিজেপি। আর এই কুড়ি দিনেই ২৫ নেতাকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ। মোদী সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি মমতা সরকারকে তুলোধনা করাও তাঁদের কাজ।
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মোদী সরকারের ৫ জন মন্ত্রী, আর উত্তরপ্রদেশ-ঝাড়খণ্ড থেকেও দশ জন মন্ত্রীকে পাঠানো হচ্ছে। কোথায় কোন নেতাকে দিয়ে সভা কিংবা সাংবাদিক বৈঠক করানো হবে, তা ঠিক করার বিষয়টি রাজ্য নেতাদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এমন ভাবে নেতাদের সফর ঠিক করা হবে, যাতে তাঁরা ঠিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। যেমন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহকে পাঠানো হতে পারে দুর্গাপুর-আসানসোল এলাকায়। ‘ভাগ মমতা ভাগ’ স্লোগান তুলে খ্যাত সিদ্ধার্থনাথ সিংহকেও পাঠানো হচ্ছে, যিনি এখন যোগী সরকারের মন্ত্রী।
এর পাশাপাশি রয়েছেন স্মৃতি ইরানি, যিনি কলকাতা গিয়ে মমতাকে একহাত নেন। অনন্ত কুমার, সুরেশ প্রভু, সন্তোষ গাঙ্গোয়াড়, নরেন্দ্র সিংহ তোমরের মতো মোদী সরকারের চার মন্ত্রীও থাকবেন। মমতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করে বিজেপি। সফরে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা শাহনওয়াজ হোসেনকেও পাঠানো হচ্ছে। থাকছেন দিল্লি বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের নেতা সুরেশ রাণা। মুজফ্ফরনগরে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ আক্রান্ত এলাকায় তাঁকে পাঠানো হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় তো আছেনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy