রাহুল গাঁধী
রাহুল গাঁধীর জন্য কার্যত বাধ্য হয়েই দলের মুখ বাঁচাতে আসরে নামতে হল অমিত শাহকে। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ।
সম্প্রতি শীর্ষ আদালত রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, অরণ্যের অধিকার আইনে যাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে। ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছিলেন রাহুল। আদিবাসী এবং অরণ্যবাসীদের স্বার্থরক্ষার্থে কংগ্রেস সভাপতির পদক্ষেপের পরেই নড়েচড়ে বসে বিজেপি। দলের সভাপতি অমিত শাহও বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের একই নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের কাছে জানতে চায়, যে জমি খালি করতে বলা হয়েছিল, সেগুলির অবস্থা কী? যদি উচ্ছেদ না হয়ে থাকে, তা হলে কেন করা হয়নি। রাহুল তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘‘চিঠি লিখে আমি মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ় ও পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী এবং কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করুন এবং ব্যবস্থা নিন।’’ রাহুল আরও জানিয়েছেন, জল, জঙ্গল ও জমি আদিবাসীদের জীবনের অঙ্গ।
এর পরই আসরে নামেন অমিত। টুইটারে লেখেন, ‘‘দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে যেন তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। খুব শীঘ্রই তাঁরা ওই আর্জি জানাবেন এবং আদিবাসী উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনীয় রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করা হবে।’’
অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের কেন্দ্রীয় কার্যকরণী মণ্ডলের বৈঠকেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে,শীর্ষ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আদিবাসী এবং অরণ্যবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত করতে রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্র পদক্ষেপ করুক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, অরণ্যের অধিকার নিয়ে রাহুল যে ভাবে তৎপর হয়েছেন, তা বিজেপির কাছে অস্বস্তিকর ছিল। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেস যেন হাওয়া কাড়তে না পারে, তাই মাঠে নামতে হয়েছে অমিতকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy