অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক। তার আগে ওই জোটে ‘নতুনত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অমিত শাহ।
বিরোধীরা যখন ‘ইন্ডিয়া’ গড়ে লোকসভা নির্বাচনে যত বেশি সম্ভব আসনে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিয়ে লড়তে চাইছে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতের প্রশ্ন, এতে কি বাস্তবে কিছু বদল হচ্ছে? শাহের ব্যাখ্যা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাত, উত্তরাখণ্ডের মতো অনেক রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই। বিহার, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যেই বিজেপির জোটের বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোট রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, দিল্লি, পঞ্জাবে ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতার চেষ্টা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। বাকি তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশার মতো রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলি ‘ইন্ডিয়া’য় নেই। তা হলে এই জোট লোকসভা নির্বাচনে কী নতুন পরিস্থিতি তৈরি করবে? এই ‘ইন্ডিয়া’র কী-ই বা নতুনত্ব?
শাহের এই প্রশ্নের জবাবে বিরোধীরা বলছেন, জোট হলে ভোট ভাগাভাগি বন্ধ হবে। সর্বোপরি মানুষের কাছে বার্তা যাবে যে, বিরোধীরা একজোট হয়ে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে। বিকল্প নীতি নিয়ে বিকল্প সরকার তৈরি করতে চাইছে। অবশ্য শাহের চ্যালেঞ্জ, ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪ সালে বিজেপি তথা এনডিএ বেশি আসন জিতবে। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের সেমিফাইনালে হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে কংগ্রেসকে হারানোর পরে শাহের দাবি, ‘‘ফাইনালের রাস্তা আগে থেকেই সোজা ছিল। নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হবেন। কারণ এত দূরদর্শী ও পরিশ্রম করার মতো ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দেখা যায়নি। জাতপাতের রাজনীতি, তোষণ, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে কোনও কথা না বলে কাজের, পারফরম্যান্সের রাজনীতি করে গিয়েছেন।’’
হিন্দি বলয়ে কংগ্রেস হারলেও, তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রশ্ন, উত্তর ভারতের বাইরে কি বিজেপি দক্ষিণ ভারতে ঢুকতে পারছে না? শাহ বলেছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের পরে এই উত্তর-দক্ষিণ ভারত বিতর্ক শেষ হয়ে যাবে। বিজেপি দক্ষিণে আছে কি নেই, তা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিন কথা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy