Advertisement
১১ মে ২০২৪
Amit Shah

জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তুলুন, টুইট করে মণিপুরবাসীর কাছে আবেদন অমিত শাহের

মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শদাতা কুলদীপ সিংহ জানিয়েছেন, রাজ্যে ক্রমশ শান্তি ফিরছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩৫টি অস্ত্র এবং কার্তুজ জমা দিয়েছেন সরকারের কাছে।

file image

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (সঙ্গে মণিপুরে হিংসার ছবি)। — ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩ ১৭:৩২
Share: Save:

মণিপুরবাসীর কাছে জাতীয় সড়কে অবরোধ তোলার আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। প্রসঙ্গত মণিপুরে হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে আছে।

শাহ তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘‘মণিপুরবাসীর কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, দয়া করে ইম্ফল-ডিমাপুর, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিন। যাতে খাদ্য, ওষুধ, পেট্রল, ডিজেলের মতো জরুরি জিনিপত্র মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।’’ পাশাপাশি মণিপুরের নাগরিক সমাজের কাছেও শাহের আর্জি, ‘‘একমাত্র আমরাই পারব একসঙ্গে এই অনন্যসুন্দর রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে পারব।’’

এ দিকে শনিবার, মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শদাতা কুলদীপ সিংহ জানিয়েছেন, রাজ্যে ক্রমশ শান্তি ফিরছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩৫টি অস্ত্র এবং কার্তুজ জমা দিয়েছেন সরকারের কাছে। শুক্রবারই ১৪০টিরও বেশি অস্ত্রশস্ত্র জমা পড়েছিল।

৪ দিনের মণিপুর সফরে শাহ রাজধানী ইম্ফলে বসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সেখানে সমস্ত মণিপুরবাসীকে শান্তি ফেরানোর আবেদন রেখেছিলেন শাহ। পাশাপাশি অস্ত্র সমর্পণেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, অশান্তি চলাকালীন শুধুমাত্র মণিপুরে বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ৪ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে।

গত ৩ মে মণিপুরে ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’-এর পর হিংসা শুরু হয়। তা থামাতে সেনা নামাতে হয়। কিন্তু অশান্তি থামানো যায়নি। কিন্তু শনিবার মণিপুর সরকারের দাবি, পরিস্থিতির উপর লাগাম পরানো গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Amit Shah Manipur Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE