গোপন স্থান থেকে ভিডিয়ো-বার্তা ‘পলাতক’ অমৃতপালের ফাইল চিত্র।
কখনও পঞ্জাব, কখনও হরিয়ানা, কখনও বা নয়াদিল্লি, নজরদারি ক্যামেরায় বার বার নানা বেশে নানা রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ এখনও নাগাল পায়নি তাঁর। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে হঠাৎই উদিত হলেন পঞ্জাবের খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। তবে সশরীরে নয়। ভিডিয়ো-বার্তায় অনুগামীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন তিনি। যে ইউটিউব চ্যানেল থেকে অমৃতপাল লাইভ ভিডিয়োয় এসেছিলেন, কিছু সময় পরেই সেটিকে দেশে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। ওই চ্যানেলটির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
ভিডিয়ো-বার্তায় অমৃতপাল দাবি করেছেন যে, ঈশ্বরের আশীর্বাদেই তিনি পালাতে পেরেছেন। মাঝখানে খবর রটে গিয়েছিল যে, অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন অমৃতপাল। আত্মসমর্পণ করার জন্য তিনি বেশ কিছু শর্তও দিয়েছেন বলেও কোনও কোনও সূত্রে দাবি করা হয়। পুলিশের তরফে আগেই সেই জল্পনার কথা উস্কে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে অমৃতপাল বলেন, “যে ভাবে সরকার আমার সহযোগীদের গ্রেফতার করে জেলে ঢোকাচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। গোটা খালসা সম্প্রদায়ের এখন এক হয়ে স্বাধীন পঞ্জাবের পক্ষে জনমত গঠন করা উচিত।” এই বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরবত খালসাকে উদ্যোগী হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ খবর রটে যায় যে, পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন অমৃতপাল। ওই অঞ্চলে তৎপরতা বাড়ায় পুলিশ। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই অঞ্চলে ‘পলাতক’ খলিস্তানি নেতা নেই। গত ১১ দিন ধরে পলাতক রয়েছেন অমৃতপাল ও তাঁর সঙ্গী পাপালপ্রীত সিংহ। নাগালে পেয়েও তাঁদের ধরতে পারেনি পুলিশ। বার বার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে সক্ষম হচ্ছেন খলিস্তানি নেতা। এই পরিস্থিতিতে ভিডিয়ো-বার্তা নিয়ে অমৃতপাল অনুগামীদের কাছে নিজের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy