Advertisement
E-Paper

খুন হওয়া প্রেমিককে ‘বিয়ে’: ভিন্‌জাতের তরুণকে মারতে দাদাদের প্ররোচনা দেয় পুলিশই! দাবি মহারাষ্ট্রের সেই তরুণীর

পুলিশ সূত্রে খবর, আঁচলের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অতীতেও মামলা রুজু করা হয়েছে। আঁচলের অভিযোগ, যে দিন সক্ষমকে খুন করা হয়, সে দিন সকালে তাঁকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন তাঁর ভাই।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:২৪
প্রেমিক সক্ষম টাটের সঙ্গে আঁচল মামিদ্বার।

প্রেমিক সক্ষম টাটের সঙ্গে আঁচল মামিদ্বার। ছবি: সংগৃহীত।

ভিন্‌জাতের প্রেমিক সক্ষম টাটেকে খুন করেছেন দাদারা। তাঁদের সেই কাজে প্ররোচনা দিয়েছিলেন দুই পুলিশকর্মীই। এমনটাই দাবি করলেন নান্দেড়ের আঁচল মামিদ্বার। সক্ষমের খুনের অভিযোগে আঁচলের দাদা হিমেশ, ভাই সাহিল এবং বাবা গজাননকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতেও অপরাধের মামলা রয়েছে।

একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সাদা চাদরে মোড়া প্রেমিকের মৃতদেহের সঙ্গে বিয়ে করছেন তরুণী। হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলছেন। সেই আঁচলের অভিযোগ, পুলিশই তাঁর দাদাদের খুনে প্ররোচনা দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আঁচলের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অতীতেও মামলা রুজু করা হয়েছে। আঁচলের অভিযোগ, যে দিন সক্ষমকে খুন করা হয়, সে দিন সকালে তাঁকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন তাঁর ভাই। দুই পুলিশকর্মী ধীরজ কোমলওয়ার এবং মাহিত আসারওয়ার জোর করে প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন তাঁকে।

আঁচলের কথায়, ‘‘যে দিন সক্ষম খুন হন, সে দিন সকাল ১১টা নাগাদ আমার ভাই আমাকে থানায় নিয়ে যায়। ও বলে, সক্ষমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতে। আমি অস্বীকার করি। তার পরেই ওই পুলিশকর্মী বলেন, তোমরা তো প্রায়ই খুন করে এখানে আসো। যে ছেলের সঙ্গে তোমার বোনের সম্পর্ক রয়েছে, তাঁকেই খুন করে দাও না!’’ আঁচলের অভিযোগ, পুলিশের এই কথায় প্ররোচিত হন তাঁর ভাই। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের কথায় আমার ভাই বলেছিল, সন্ধ্যার মধ্যেই খুন করছি। তার পর আবার আসছি।’’

গত বৃহস্পতিবার সক্ষমকে ডেকে পাঠান আঁচলের বাবা ও দাদারা। সেখানে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর তরুণের বুকে গুলি করে পাথর দিয়ে তাঁর মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সক্ষমের। এর পর সোজা প্রেমিকের শেষকৃত্যে গিয়ে উপস্থিত হন আঁচল। মৃতদেহে হলুদ মাখিয়ে, নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পরে নেন তরুণী। জানিয়ে দেন, সারা জীবন সক্ষমের স্ত্রী হিসাবে শ্বশুরবাড়িতেই থাকবেন তিনি।

আঁচল একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানান, তিন বছর ধরে সক্ষমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাঁর বাবা, দাদারা জানিয়েছিলেন, বিয়েও দেবেন তাঁদের। দেখা হলে সক্ষমের সঙ্গেও ভাল ব্যবহার করতেন বলে জানান আঁচল। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ওঁদের শাস্তি চাই।’’

Honour killing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy