আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চারটি জায়গাকে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্বীকৃতির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির মুখ্যসচিব চন্দ্রভূষণ কুমার। এই চারটি জায়গার মধ্যে রয়েছে ভারতের একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি ব্যারেন দ্বীপ। এ ছাড়া রয়েছে নরকোন্ডম দ্বীপও। বিরল নরকোন্ডম হর্নবিল পাখির জন্য এই দ্বীপটি অধিক পরিচিত। বরাটাঙের কাদা আগ্নেয়গিরি (মাড ভলক্যানো) এবং শহিদ দ্বীপের প্রাকৃতিক সেতুকেও ইউনেসকো স্বীকৃত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর তালিকাভুক্ত করতে চায় আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে চন্দ্রভূষণ জানান, সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ভারতের ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (জিএসআই)-এর সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ভৌগোলিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি। আন্দামান ও নিকোবরের মুখ্যসচিব বলেন, “গোটা দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে পর্যটনের প্রচারের জন্য আমরা বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে কিছু ঐতিহ্যবাহী জায়গা রয়েছে, যা দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাস এবং জীববৈচিত্রের প্রতিফলন ঘটায়।”
বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গা ইতিমধ্যে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্ব ঐতিহ্য এই তালিকায় রয়েছে এ পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন এবং সুন্দরবনও। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং টয়ট্রেনের সঙ্গে নীলগিরি পাহাড় এবং শিমলার পাহাড়ি পথের রেলও এই গৌরবের শরিক। আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে কলকাতার দুর্গাপুজোও রয়েছে ইউনেসকোর স্বীকৃতির তালিকায়। এ বার আন্দামান ও নিকোবরের প্রশাসনের তরফেও চারটি জায়গাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আন্দামান ও নিকোবরের মুখ্যসচিব জানান, এই জায়গাগুলির উন্নয়ন এবং পর্যটনের বিকাশের পরিকল্পনার জন্য জিএসআই-এর সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিও উন্নত হবে বলে আশাবাদী তিনি।