নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে কিছু দল ও সংগঠন ভাষার নামে মেরুকরণ করে চলেছে বলে অভিযোগ করল হিন্দু লিগ্যাল সেল। তাদের কথায়, এই সংশোধনীকে সামনে রেখে দলগুলি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। অরাজনৈতিক সংগঠনগুলি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সেলের নেতাদের অভিমত, বিরূপ, অপ্রীতিকর ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করে তারা রাজ্যে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিলটিকে সমর্থন করে সেল শুধু সামান্য সংশোধনের প্রস্তাব দিচ্ছে। সেলের পক্ষে ধর্মানন্দ দেব, মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য ও দিলীপকুমার দাস জানান, নাগরিকত্ব আইনের ৬ (ক) ধারা সংশোধন করে এর শেষে যুক্ত করতে হবে, এটি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। কারণ এই ধারায় ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তিনি ও তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হন। তাঁদের আরও দাবি, উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানের পরপরই যেন তাদের নাম এনআরসি-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। হিন্দু লিগ্যাল সেলের মতে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নির্যাতিত হয়ে আসা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদান শুধু নৈতিক নয়, মানবিক কর্তব্যও।
এ দিকে, কোনও দল বা সংগঠনের নাম উল্লেখ না করলেও বৃহত্তর আসাম বাঙালি উন্নয়ন সমিতি বিলের বিরোধিতা করায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। সমিতির কাছাড় জেলা কমিটির সভায় আজ এ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। গগৈয়ের কুশপুতুল দাহ-সহ স্থানে স্থানে তারা সভা-সমিতি করবে বলেও জানিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় দেওয়াল লিখনেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে সমিতির রাজ্য সম্পাদক প্রবাল পালচৌধুরী জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন সুকান্ত রায়, দিলীপ রায়, কাজলকান্তি দে, হিমাংশু গুপ্ত ও নৃপেশরঞ্জন দাস। পৌরোহিত্য করেন সমিতির জেলা সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি গুপ্ত। আগামী মাসে সমিতির বরাক ভিত্তিক সম্মেলন হবে। সেখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলই বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে প্রবালবাবু জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy