পাকিস্তানের গ্যাংস্টার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে। শুক্রবার আদালতে জানিয়েছিলেন গ্যাংস্টার আনমোল বিশ্নোই। সেই আবেদন শুনে পটিয়ালা হাউস কোর্টের বদলে শনিবার দিল্লিতে এনআইএর সদর দফতরে শুনানি করলেন বিচারক।
জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোলকে আমেরিকা ভারতে প্রত্যর্পণ করে। তার পরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় এনআইএ। শনিবার তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। তার আগের দিন, শুক্রবার সন্ধ্যায় এনআইএ কোর্টে আবেদন জানান আনমোল। তাঁর আইনজীবী জানান, পাকিস্তানের গ্যাংস্টার শাহজ়াদ ভাট্টি আনমোলকে খুনের হুমকি দিয়েছেন। তাই তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে। তার পরেই ২০০৮ সালের এনআইএ আইনের ১২ নম্বর ধারা মেনে পটিয়ালা হাউস কোর্টের বদলে এনআইএ-র সদর দফতরে শুনানি করে বিচারক প্রশান্ত শর্মা।
চলতি বছরের শুরুতে জলন্ধরে এক ইউটিউবারের বাড়ির সামনে বোমা ছোড়া হয়। তাতে কেউ হতাহত হননি। সেই হামলার দায় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের গ্যাংস্টার শাহজ়াদ। সেই বিষয়টিকে আদালতে তুলে ধরেন আনমোলের আইনজীবী। তিনি সওয়াল করে জানান, জলন্ধরে শাহজ়াদ ওই কাণ্ড ঘটাতে পারলে এখন আনমোলকে খুনের যে হুমকি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করতে পারেন। এতে তিনি স্থানীয় গুণ্ডাদের সাহায্য নিতে পারেন।
আরও পড়ুন:
আনমোলের বিরুদ্ধে ভারতে ১৮টি মামলা বিচারাধীন। ২০২২ সালে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনে ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর। এ ছাড়াও বাবা সিদ্দিকি খুনেও তিনি জড়িত বলে দাবি করা হয়। অভিযোগ, তাঁর নির্দেশে অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানো হয়েছিল। ২০২২ সালে সিধু-খুনে তাঁর নাম জড়াতেই দেশছাড়া হন আনমোল। অভিযোগ, জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে আমেরিকায় যান তিনি। গত বছর নভেম্বরে আনমোলকে গ্রেফতার করে ক্যালিফোর্নিয়ার ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্স এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। তার পর থেকে জেলেই ছিলেন। চলতি মাসে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণ করে আমেরিকা।