কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ছোট ভাই আনমোল বিশ্নোই ওরফে ভানুকে আমেরিকা থেকে ভারতে আনা হল। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনে অন্যতম অভিযুক্তও তিনি। গত বছর আমেরিকায় গ্রেফতার হন তিনি। তার পর থেকেই তাঁর প্রত্যর্পণের চেষ্টা করতে থাকে ভারত সরকার। অবশেষে আমেরিকা থেকে তাঁকে পাঠানো হল ভারতে। এ দেশে আসার পর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) আনমোলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতার করে। তার পরে হাজির করানো হয় দিল্লির পটীয়ালা আদালতে।
আনমোলের বিরুদ্ধে ভারতে ১৮টি মামলা বিচারাধীন। ২০২২ সালে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনে ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর। এ ছাড়াও বাবা সিদ্দিকি খুনেও তিনি জড়িত বলে দাবি করা হয়। অভিযোগ, তাঁর নির্দেশে অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানো হয়েছিল।
২০২২ সালে সিধু-খুনে তাঁর নাম জড়াতেই দেশছাড়া হন আনমোল। অভিযোগ, জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে আমেরিকায় যান তিনি। গত বছর নভেম্বরে আনমোলকে গ্রেফতার করে ক্যালিফোর্নিয়ার ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্স এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। অভিযোগ, জাল নথির সাহায্য নিয়ে বেআইনি ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন আনমোল। তার পর থেকে আমেরিকার জেলেই ছিলেন তিনি।
জেলে থাকাকালীনই আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদনও করেন। প্রায় এক বছর ধরে তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয় আমেরিকার আদালতে। একই সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনও খতিয়ে দেখেন মার্কিন প্রশাসন। গত সপ্তাহে আনমোলের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তার পরেই তাঁকে ভারতে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে আমেরিকা। বুধবার প্রায় ২০০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে ভারতে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আনমোল।
আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রের বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বিশ্নোই গ্যাংয়ের। অভিযোগ ওঠে, লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোলই সিদ্দিকিকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিদেশে বসে হামলার ছক কষেছিলেন তিনিই। সেই থেকেই তদন্তের স্বার্থে আনমোলকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার। আনমোলের দাদা লরেন্স ২০১৫ সাল থেকে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দি। অনেকের দাবি, তাঁর হয়ে বিশ্নোই গ্যাংয়ের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম আনমোলই পরিচালনা করেন। এনআইএ-র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ছিল তাঁর।