Advertisement
E-Paper

ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতার মৃত্যু! টানা তিন দিন ধরে জঙ্গলে অভিযান, নিহত অন্তত ৭ জন

গত বৃহস্পতিবার থেকে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে মাওবাদীদের। তিন দিনের অভিযানে মাওবাদীদের দুই শীর্ষনেতা-সহ অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১৮:০৪
ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযান।

ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযান। —ফাইল চিত্র।

ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে গত তিন দিন ধরে চলা যৌথবাহিনীর অভিযানে অন্তত সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিপিআই (মাওবাদী)-র দুই শীর্ষনেতাও। বৃহস্পতিবারই মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুধাকরের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, সুধাকর ছাড়াও সিপিআই (মাওবাদী)-এর তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির নেতা ভাস্করেরও মৃত্যু হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে মাওবাদীদের। অভিযানের প্রথম দিনেই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে সুধাকরের মৃত্যু হয়। তবে সরকারি ভাবে তা ঘোষণা করা হয়নি। শনিবার বস্তার পুলিশের আইজি সুন্দররাজ জানান, ওই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে সুধাকরের। তাঁর মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। বিজাপুরের অভিযানে মৃত্যু হয়েছে অপর মাওবাদী নেতা ভাস্করেরও। তেলঙ্গানা এবং ছত্তীসগঢ় উভয় রাজ্যের প্রশাসনই ভাস্করের খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। দুই রাজ্য মিলিয়ে ভাস্করের মাথার দাম ছিল ৪৫ লক্ষ টাকা।

বস্তারের আইজি জানান, বিজাপুরের জঙ্গলের অভিযানে এখনও পর্যন্ত সাত জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে সুধাকর এবং ভাস্করের দেহ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, শুক্রবার বেশি রাতের দিকে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। শনিবারও দু’পক্ষের গুলির লড়াই হয়েছে। শনিবারের সংঘর্ষের পরে জঙ্গল থেকে আরও দুই মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মাওবাদীদের মধ্যে দু’জন মহিলাও রয়েছেন। তবে ওই সাত মাওবাদীর মধ্যে দুই শীর্ষনেতা ছাড়া বাকি পাঁচজনের দেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

তেলঙ্গানা, ছত্তীসগঢ় এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর। ভাস্করও তেলঙ্গনা এবং ছত্তীসগঢ়ে সক্রিয় ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছিলেন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানেরা। মাওবাদীদের গতিবিধির বিষয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিজাপুরের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোবাহিনী ‘কোবরা’ও ছিল ওই অভিযানে। তিন দিন ধরে চলা ওই অভিযানে এখনও পর্যন্ত সাত মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হল।

বিজাপুরের জঙ্গলে নিহত দুই শীর্ষ মাওবাদী নেতা ছাড়াও আরও কয়েক জন প্রথম সারির মাওবাদী নেতা লুকিয়ে ছিলেন বলে খবর ছিল যৌথবাহিনীর কাছে। সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া’-র প্রতিবেদন অনুসারে, তালিকায় রয়েছেন বন্দি প্রকাশ, পাপ্পা রাও-সহ মাওবাদীদের দণ্ডকারণ্য অঞ্চল কমিটির নেতারা। তবে তাঁদের মৃত্যুর কোনও খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

গত মাসেই অপর এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা তথা সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর মৃত্যু হয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। ওই অভিযানে বাসবরাজের পাশাপাশি আরও ২৯ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল।

Chhattisgarh bijapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy