কুকুরের হামলা ক্রমে বেড়েই চলেছে কেরলে। প্রতীকী ছবি।
একের পর এক কুকুরের হামলার ঘটনায় ত্রস্ত গোটা কেরল। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়াদের উপর বেশ কয়েক বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর তার জেরেই এখন স্কুলে যাওয়া প্রায় শিকেয় উঠেছে পড়ুয়াদের।
কুকুরের হামলা থেকে বাঁচতে নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন রাজ্যবাসীরা। বিশেষ করে রাজ্যের উত্তরভাগে হামলার ঘটনা বেশি ঘটছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমীর এক যুবক কুকুরে হাত থেকে স্কুলপড়ুয়াদের রক্ষা করতে হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন। তবে সেটি এয়ার গান বলেই জানিয়েছেন সমীর।
সমীরের এলাকায় বেশ কয়েক জনকে কুকুরে কামড়েছে। ফলে কেউই এখন বাইরে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে পড়ুয়াদেরও স্কুল যাতায়াত শিকেয় উঠেছে। কোনও অভিভাবক ভরসা করে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। সমীরের সন্তানও স্কুলে পড়ে। তাঁর সন্তানের পাশাপাশি, এলাকার অন্য বাচ্চাদেরও যাতে কুকুর কামড়াতে না পারেন, তাই নিজেই শিশুদের পাহারা দিয়ে স্কুলে দিয়ে আসছেন, আবার নিয়েও আসছেন।
কেরলের বাকেলের বাসিন্দা সমীর বলেন, “এর জন্য যদি কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাতেও পরোয়া করি না। কেননা, আমি তো কোনও কুকুরকে হত্যা করছি না। শুধু ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলিকে রক্ষা করছি।”
কেরল হাই কোর্ট রাজ্য সরকারকে কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীর সুরক্ষার দিকটাও মাথায় রাখতে বলেছে আদালত। শুধু তাই-ই নয়, কোনও রাজ্যবাসী যাতে নিজের হাতে আইন না তুলে নেয়, সেদিকটাও নজর রাখতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy