Advertisement
E-Paper

হরিয়ানায় জাঠ বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে হত ৩, নামল সেনা

পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত সেনা নামল। রোহতক, ঝাজ্জার, সোনেপত, ভিওয়ানি, কার্নাল ও হিসার সহ হরিয়ানার আটটি অশান্ত এলাকায়। দেওয়া হয়েছে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২২:০১

পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত সেনা নামল।

রোহতক, ঝাজ্জার, সোনেপত, ভিওয়ানি, কার্নাল ও হিসার সহ হরিয়ানার আটটি অশান্ত এলাকায়। দেওয়া হয়েছে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ।

এ দিনই জাঠ বিক্ষোভে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। রোহতকে হরিয়ানার অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। তার পরই সেখানে পুলিশের গুলিতে তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী খট্টর জাঠ সংরক্ষণ আন্দোলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু এক দিকে রাজ্যের সচিবালয়ে যখন বৈঠক চলছে, তখন বিক্ষোভের আগুন ক্রমশ ছড়াতে থাকে একের পর এক জেলায়। রোহতকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্ত্রী তখন রাজধানী চণ্ডীগড়ে থাকলেও তাঁর পরিবার রোহতকের বাড়িতেই ছিল। পুলিশ মন্ত্রীর পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিতে তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। জখম কম করে ৮ জন। আন্দোলনে পুলিশি গুলিচালনার খবর ছড়াতেই আরও উত্তাল হয়েছে হরিয়ানা। রাজ্যজুড়ে শুরু হওয়া অবরোধের জেরে খাদ্যদ্রব্য, সব্জি, দুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহও থমকে গিয়েছে।

আরও পড়ুন- চাষিদের আত্মহত্যা ফ্যাশন, মন্তব্য বিজেপি সাংসদের

ও দিকে, জাঠ আন্দোলন হিংসাত্মক হতেই এ দিন পিছু হঠে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ঘোষণা করলেন, বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনেই শিক্ষা, চাকরি-সহ নানা ক্ষেত্রে জাঠ সম্প্রদায়ের জন্য কোটা নির্দিষ্ট করতে বিল আনা হবে। চণ্ডীগড়ে সর্বদলীয় বৈঠকের পর খট্টর নিজেই সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

সংরক্ষণের দাবিতে জাঠদের বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার থেকেই হিংসাত্মক হতে শুরু করেছিল। রোহতকে দফায় দফায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের পর মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবারই জাঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রফাসূত্র না মেলায় বিক্ষোভ আরও ছড়াতে থাকে। রোহতক ছাড়িয়ে কর্নাল, ঝিন্দ এবং কৈথল জেলায় বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংযোগ কেটে দেওয়া যাবে বলে প্রশাসন মনে করেছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু হয়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা অঘোষিত বন্‌ধের চেহারা নেওয়ায় খোলেনি অনেক স্কুল-কলেজও। তবে মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় জাঠ সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের দাবি মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করায়, আন্দোলন থামবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

army called in gone goal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy