ল্যান্স নায়েক মুখতার আহমেদ মালিক
কাশ্মীরে ফের বাড়িতে ঢুকে এক সেনাকে খুন করল জঙ্গিরা।
দুর্ঘটনার পরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ল্যান্স নায়েক মুখতার আহমেদ মালিকের ছেলে। ১৫ সেপ্টেম্বর মারা যায় সে। ছেলের শেষকৃত্যে যোগ দিতে কুলগামের শুরাট গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন মালিক। আজও ‘রসম-ই-চওরাম’-এর (মৃত্যু-পরবর্তী আচার অনুষ্ঠান) প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মালিক পরিবারের সদস্যেরা। তখনই জোর করে বাড়িতে ঢোকে এক দল জঙ্গি। মুখতারের খোঁজ করে তারা।
বাড়ির দোতলায় মুখতারের খোঁজ পেয়ে তাঁকে কোথায় কত সেনা আছে তা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে জঙ্গিরা। মুখতার সাফ বলেন, ‘‘গুলি করলে গুলি কর। প্রশ্ন কোরো না।’’ এর পরে খুব কাছ থেকে মুখতারকে গুলি করে জঙ্গিরা। টেরিটোরিয়াল আর্মির ১৬২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ল্যান্স নায়েক মুখতার এক সময়ে আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের বাহিনীর (ইখওয়ান) কম্যান্ডার ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, মুখতারের বন্ধুর গতিবিধির উপরে নজর রেখেই তাঁর বাড়ি ফেরার দিনক্ষণ জানতে পেরেছিল জঙ্গিরা। ঘটনার পরে শুরাটের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। ছুটিতে থাকার সময়ে অফিসার ও জওয়ানদের উপরে এই ধরনের হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাহিনী। বিয়েবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণ সেনা অফিসার উমর ফয়েজকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। পরে স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জঙ্গিদের ফাঁদে পড়েন সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেব। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একাধিক কর্মীকে বাড়িতে খুন করা হয়েছে। সম্প্রতি কয়েক জন জঙ্গির পরিবারের সদস্যকে গ্রেফতার করার পরে পুলিশকর্মীদের আত্মীয়স্বজনকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। বদলে জঙ্গিদের আত্মীয়দের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy