প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীরের শোপিয়ানে ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ নিহত তিন যুবকের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট তাঁদের পরিবারের পাঠানো নমুনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে। অন্ত্যেষ্টির জন্য দেহগুলি তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। পাশাপাশি, নিহত যুবকদের যে কোনও জঙ্গি যোগ মেলেনি, সে কথাও জানিয়েছে সেনা।
গত ১৮ জুলাই শোপিয়ানে অপারেশন আমশিপোরা-য় জঙ্গি সন্দেহে সেনার গুলিতে নিহত হন রাজৌরির বাসিন্দা ইবরার আহমেদ (২৬), মহম্মদ ইমতিয়াজ (২১), মহম্মদ ইমরান (১৮)। প্রথমে সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল, তিন যুবকের জঙ্গি যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের আশপাশ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছিল তারা।
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তিন জনের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তাঁদের পরিবারের লোকেরা যুবকদের শনাক্ত করেন। আত্মীয়দের দাবি ছিল, কাজের খোঁজে শোপিয়ানে গিয়েছিলেন যুবকেরা। সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিন জনে থাকছিলেন। ঘটনার দিন তাঁরা কিছু জিনিসপত্র কিনতে বেরিয়েছিলেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই থেকে যুবকদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
এ দিকে সেনার গুলিতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়। ভুয়ো সংঘর্ষে ওই যুবকদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি ওঠে। ভুয়ো সংঘর্ষ নিয়ে বিতর্কের পারদ চড়তে শুরু করায় অন্তর্তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় সেনা। তবে তদন্ত এগোতে সুর বদলায় তারা। প্রাথমিক তদন্তের পর সেনা জানায়, কিছু প্রমাণ মিলেছে যেখানে দেখা গিয়েছে, আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট (আফস্পা) লঙ্ঘন করেছে সেনা। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য অভিযুক্ত জওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় সেনা।
এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে সোমবার পুঞ্চ থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আজ তাদের আট দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় আদালত। অভিযোগ, ধৃতেরা সেনাবাহিনীর কাছে ওই যুবকদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy