জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এআইইউডিএফ অসম রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরিকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পারভিন খান নামে উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলার ভোটার তালিকায় থাকা এক তরুণীকে মুন্নি বেগম চৌধুরি নাম দিয়ে করিমগঞ্জের এনআরসি-তে নাম তোলাবার চেষ্টা করেছেন। এবং এর জন্য নজরুল ইসলাম জাল নথি এনআরসি আধিকারিকদের কাছে জমাও করেন।
পুলিশ আজ এই রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নজরুল ইসলাম চৌধুরি উত্তর করিমগঞ্জ বিধানসভা আসনে লাগাতার তিন বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। অসম গণ পরিষদের করিমগঞ্জ জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি নজরুল পরে এআইইউডিএফে যোগ দিয়ে রাজ্য সহ-সভাপতি হন। গত বিধানসভা নির্বাচনে দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারেন।
সম্প্রতি নজরুল ইসলাম চৌধুরির বিরুদ্ধে তাঁরই নিকটাত্মীয় আব্দুল বাসিত চৌধুরি করিমগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে নামে। বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত পারভিন খান নামে ওই তরুণীর হাফলঙের ভোটার তালিকায় নাম ছিল। নজরুল কখনও ওই তরুণীকে তাঁর কন্যা কখনও শ্যালিকার মেয়ে বলছেন। পুলিশের ধারণা, ২০১১ সাল থাকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত করিমগঞ্জের ভোটার তালিকায় ব্যবহার হওয়া মহিলার ছবি দিয়ে পাসপোর্ট বানানো হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy