প্রতীকী ছবি।
দেশে যখন ফের করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই আশার আলো দেখা গেল অরুণাচল প্রদেশে। তিন জন সক্রিয় রোগী সুস্থ হওয়ায় করোনামুক্ত হল এই রাজ্য।
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আর কোনও সক্রিয় করোনা রোগী নেই রাজ্যে। সবাই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৯.৬৬ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার শূন্য। রাজ্যের পর্যবেক্ষক আধিকারিক লোবসাং জাম্পা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোনও সংক্রমণও ধরা পড়েনি।
অরুণাচল প্রদেশে মোট ১৬ হাজার ৮৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৮০ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তিন জন সক্রিয় করোনা রোগী ছিলেন। রবিবার তাঁরা সুস্থ হওয়ায় এই রাজ্য করোনা মুক্ত হল বলেই দাবি করেছেন ওই আধিকারিক।
জাম্পা জানিয়েছেন, মোট ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৬৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার ৩১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি।
তিনি আরও জানান, রাজ্যে দ্রুত হারে টিকাকরণের কাজও চলছে। এখনও পর্যন্ত ৩২ হাজার ৩২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। সোম, বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনিবার— সপ্তাহে এই চার দিন টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
অরুণাচল প্রদেশ করোনামুক্ত হলেও দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। দেশে দৈনিক সংক্রমণ পর পর চার দিন ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট দৈনিক সংক্রমণের মধ্যে ৮৬ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাতের। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে আবার দৈনিক সংক্রমণের বিষয়ে মহারাষ্ট্র এবং কেরল চিন্তা বাড়াচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে অমরাবতী, নাগপুর-সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। ৮ মার্চ পর্যন্ত এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কেরলেও বেশ কয়েকটি জেলায় কড়া পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। কেরলে ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণকে কাবু করে ভোট পরিচালনা করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সময় ‘দেশের মধ্যে প্রথম করোনামুক্ত রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ’ লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy