অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
ইডির সপ্তম বারের তলবেও সাড়া দিচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সোমবার সকালে আপের তরফে জানানো হয়, গোটা বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই ইডি যেন এই বিষয়ে ধৈর্য ধরে। কেজরীওয়াল নিজে অবশ্য গরহাজির থাকার কোনও ব্যাখ্যা দেননি।
সোমবার আপের বিবৃতিতে বলা হয়, “বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৬ মার্চ। তাই রোজ সমন পাঠানোর পরিবর্তে ইডি বরং ধৈর্য ধরুক এবং আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুক।”
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় পঞ্চম বার ইডির সমন এড়ানোর পর কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানানো হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানিতে বিচারক দিব্যা মলহোত্র নির্দেশ দিয়েছিলেন, আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে হবে আপের প্রধানকে। ঘটনাচক্রে, এই সময়ের মধ্যেই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির তরফে ষষ্ঠ সমন পাঠানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজিরা দিয়ে কেজরী জানান, দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোট থাকার কারণে তিনি সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারছেন না। আদালত তাঁকে আগামী ১৬ মার্চ সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেয়। আদালতের ‘ছাড়পত্র’ হাতিয়ার করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ইডির ষষ্ঠ সমন এড়িয়ে যান। এ বার এড়ালেন সপ্তম সমনও।
সপ্তম বার সমন পাঠানোর খবর প্রকাশ্যে আসার পর আপ দাবি করেছিল, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে হারার প্রতিশোধ নিতেই কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে বিতর্কিত ভোটে বিজেপি প্রার্থী জিতলেও সুপ্রিম কোর্টে ফের ভোটগণনা হয়। তাতে জয়ী হন আপের মেয়র পদপ্রার্থী কুলদীপ সিংহ।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে গিয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy