Advertisement
০১ মে ২০২৪
CAA

সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওয়েইসি, কী জানালেন মিম নেতা?

প্রায় সাড়ে চার বছর আগে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। গত সোমবার প্রায় চার বছর পর সিএএ কার্যকর করা হয়।

Asaduddin Owaisi moves Supreme Court seeking stay on implementation of CAA

আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪১
Share: Save:

দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

শীর্ষ আদালতে জানানো আবেদনে ওয়েইসি জানিয়েছেন, সিএএ-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও, এই আইনে আসলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে ওয়েইসি সিএএ-র সঙ্গে জুড়েছেন জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-কেও। তাঁর দাবি, এনআরসির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। কিন্তু সিএএ-তে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

প্রায় সাড়ে চার বছর আগে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। কিন্তু এত দিন ধরে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিএএ কার্যকর করা জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বিরোধীদের দাবি, সিএএ ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘বৈষম্যমূলক’। তাঁদের কথায়, কেন এই আইনে শুধু মাত্র ছয় সম্প্রদায়ের কথা বলা হল? কেন মুসলিম সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে এই আইন বানাল কেন্দ্রীয় সরকার? বিরোধীদের কথায়, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখানে এ ধরনের আইন মানুষের মধ্যে ‘বৈষম্য’ সৃষ্টি করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে আসছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র সম্পর্ক রয়েছে। বর্ণবৈষম্যের সিএএ আমি মানি না।’’ যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, সিএএ এবং এনআরসি সম্পূর্ণ আলাদা। দু’টি বিষয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। সিএএ শুধু নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এর দ্বারা কোনও ভারতীয়ের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে না।

ইতিমধ্যেই সিএএ কার্যকরের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ সেই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Asaduddin Owaisi Supreme Court AIMIM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE