অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি উয়ংয়ের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: পিটিআই।
কানাডার সঙ্গে সম্পর্কে যে খুব সহজে সহজ হবে না, তা বুঝেছে সাউথ ব্লক। তাই এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক দৌত্য চলছে জোর কদমে। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি উয়ংয়ের সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ আলোচনায় উঠে এসেছে কানাডা সংক্রান্ত ভারতের অভিযোগের দিকগুলি।
আজ পেনির সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের মতে আসল বিষয়টি হল, কানাডায় সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদের জন্য জায়গা ছাড়া হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া এমন একটি দেশ, যার সঙ্গে কানাডা এবং ভারত উভয়েরই সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই অস্ট্রেলিয়াকে এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানানো জরুরি।”
কানাডাবাসী খলিস্তানি জঙ্গিদের নিয়ে গত আড়াই মাস ধরে উত্তপ্ত দিল্লি-অটোয়া সম্পর্ক। কানাডায় খলিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যায় ভারতীয় গুপ্তচরদের হাত আছে বলে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দফায় দফায় সেই অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের বৈঠকে সে দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মকও হতে দেখা গিয়েছে ভারতকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বোঝানো হযেছে, বাকস্বাধীনতার তোয়াক্কা করে না ট্রুডো সরকার। এর পর আজ অস্ট্রেলিয়াকেও ট্রুডো সরকার সম্পর্কে নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন জয়শঙ্কর।
বিদেশমন্ত্রী জানান, আরও বেশি করে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান থেকে শুরু করে ভারতের মাটিতে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার মতো নানা বিষয়েই কথা হয়েছে। উঠেছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রসঙ্গও। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। একটি উদার, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও নিয়মভিত্তিক ভারত প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি আমরা। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy