নাগরিকত্ব প্রমাণে আরও সময় দিল আদালত।—ফাইল ছবি।
রাজ্য সরকার বা এনআরসি দফতরের নজরদারির অভাব, দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার দায় সাধারণ মানুষ নিতে বাধ্য নয়। এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা খসড়াছুটদের আবেদনে যে পাঁচটি নথি বাদ রাখার সুপারিশ করেছিলেন, তা আজ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন
খসড়াছুট ৪০ লক্ষাধিক মানুষ ফের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়ে আগের মতো ওই পাঁচটি প্রমাণপত্র পেশের সুযোগ পাবেন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়ও বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হল। তা পরীক্ষার কাজ চলবে আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
হাজেলার সুপারিশ অনুযায়ী আদালত ১৯৫১ সালের এনআরসি, ১৯৬৬ ও ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকা, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত রিফিউজি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও রেশন কার্ড—এই পাঁচটি প্রামাণ্য নথিকে সেপ্টেম্বর থেকে রদ করেছিল। হাজেলা আদালতকে জানায়, ওই নথিগুলির ব্যাপক কারচুপির ঘটনা সামনে এসেছে। একটি অসাধু চক্র মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো লিগ্যাসি, ভোটার তালিকা তৈরি করে অবৈধ নাগরিকদের নামও এনআরসিতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তার জেরে রাজ্য সরকার বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় ফের এনআরসির খসড়া যাচাই ও পরীক্ষা করার আর্জি আদালতে জমা দেয়। কিন্তু রাজ্য সরকার পাঁচটি নথি বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করে জানায়, ওই পাঁচটি নথি বাদ দিলে প্রকৃত নাগরিকদের অনেকে
সমস্যায় পড়বেন।
শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে এনআরসি নিয়ে বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার গুমোট ভাব অনেকটাই কাটল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে থেকে ভারতে বসবাসের প্রমাণপত্র হিসেবে ওই নথিগুলিই আছে উপত্যকার
মানুষের ঘরে ঘরে। সেগুলি বাতিল হলে কী করে নাগরিকত্বের প্রমাণ দেবেন, তা নিয়ে দিশাহারা অবস্থা ছিল অনেকের। আর এর ফলে নতুন আবেদন পত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা পড়ছিল না। আশা, কাল থেকেই নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি জানানো শুরু হবে। আগে যে সব সংস্থা, সংগঠন গ্রামেগঞ্জে আবেদনপত্র পূরণে এগিয়ে গিয়েছিল, থমথমে পরিস্থিতির জন্য তারাও পিছিয়ে আসে। তাদের অনেকে কাল থেকে স্বেচ্ছাসেবায় ঝাঁপানোর কথা জানান। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে রাজনীতি নির্বিশেষে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম।
আরও পড়ুন: ইসরোর ‘গুপ্তচর’ মামলা: মুক্ত হয়েও ক্ষতিপূরণ অধরা রইল শর্মার
আরও পড়ুন: 'ভুল পথে গিয়েছিলাম, এটা জিহাদ নয়', দল ছাড়ার পর স্বীকারোক্তি কিশোর জঙ্গির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy