শিলচর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সদস্যরা । নিজস্ব চিত্র।
শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের মতো ব্যবহার করেছে অসম প্রশাসন। ধস্তাধস্তি করে ঠেলে ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি মহিলা সাংসদদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি। তিনটি ঘরে সারারাত কাটাতে বাধ্য করা হয়েছে। শিলচর থেকে কলকাতায় ফিরে নিজেদের এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সদস্য সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এই হেনস্থার প্রতিবাদে শনি ও রবিবার রাজ্যজুড়ে কালাদিবস পালনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পরিকল্পনা ছিল নাগরিকপঞ্জি নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে প্রথমে শিলচর ও পরে গুয়াহাটি যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু বৃহস্পতিবার শিলচর বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেয় রাজ্য প্রশাসন। সেখান থেকেই শুক্রবার সকালে কলকাতায় ফেরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সাত জনপ্রতিনিধি এবং এক মন্ত্রীকে শিলচরে ঢুকতেই দেয়নি অসম প্রশাসন। সারা রাত বিমানবন্দরের লাউঞ্জের ডর্মিটরিতে রাত কাটাতে হয় তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের। সরকারি আতিথ্য গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন তাঁরা। সরকারের পাঠানো খাবারও খাননি তাঁরা। এরপর রাতের খাবারের দায়িত্ব তুলে নেন পশ্চিমবঙ্গের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর আপ্তসহায়ককে দিয়ে বাইরে থেকে খাবার আনান ববি। রুটি-সবজি খেয়েই রাত কাটান তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা।
শিলচর বিমানবন্দরে ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র
এরপর শুক্রবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের বিমানে কলকাতায় ফেরেন ছয় জন। দলের দুই সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও মমতাবালা ঠাকুর শিলচর বিমানবন্দরেই রয়ে গিয়েছেন। তাঁরা সেখান থেকে দিল্লি যাবেন। সংসদে তাঁদের এই হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব হবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন,‘‘মনে হচ্ছে আমাদের যেন বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে কয়েকশো পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা যেন উগ্রপন্থী। আমরা যেখানে যাচ্ছি, পুলিশ আমাদের অনুসরণ করছে। এমনকি শৌচালয়ে যাওয়ার সময়ও একা যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: ‘সুপার এমার্জেন্সি চলছে’, ফুঁসে উঠলেন মমতা, দিলীপ বললেন ‘পাওনাই ছিল’
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার রাতেই বিমানবন্দরে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রাত গভীর হওয়ার পর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে তিনটি ডর্মিটরিতে ভাগাভাগি করে রাত কাটান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অসম সরকারের তরফে রাতেই পাঠানো হয়েছিল মেডিক্যাল টিম। চিকিৎসকরা তাঁদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে জানান, কোনও সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন: অসমে প্রবেশ নিষেধ
দমদম বিমানবন্দরে নেমে গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, গতকাল তাঁদের যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy