অসমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপরাধের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তার জেরে মোবাইল ফোন ফরেন্সিক গবেষণাগার গড়তে চলেছে রাজ্য পুলিশ— এ কথা জানিয়েছেন ডিজি মুকেশ সহায়।
তিনি জানান, সেখানে ফোনের ‘ডিজিট্যাল ডেটা’ পরীক্ষা করা যাবে। তা থেকে বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে মিলতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গুয়াহাটিতে রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ও সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং-এর সাহায্যে ওই গবেষণাগার তৈরি করা হবে।
পুলিশকর্তা জানান, মোবাইল ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠানো, হুমকি, মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। নাশকতা, অপহরণেও যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোন। ইন্টারনেট-দুষ্কৃতীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভাইরাসও ছড়াচ্ছে। করছে হ্যাকিং। সে সবের পরিপ্রেক্ষিতে ওই গবেষণাগারে থাকছে ডেটা উদ্ধার, মুছে দেওয়া তথ্য ফিরে পাওয়া, মোবাইল ‘ট্র্যাক’ করার নতুন সরঞ্জাম। ডেটা উদ্ধার, ডি-কোড করার কাজে সাহায্য করবে ‘সি-ড্যাক’।
রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের বক্তব্য, মোবাইলে ব্যাঙ্ক ও অন্য লেনদেন বাড়ছে। কার্ড বা নেট-ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড ‘হ্যাক’ করে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু তা মোকাবিলায় এখনও যথেষ্ট পোক্ত নয় পুলিশ।
পুলিশকর্মীদের সাইবার অপরাধের বিষয়ে বোঝাতে বিভিন্ন জায়গায় ৯টি সাইবার গবেষণাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গুয়াহাটি সদর দফতর, সিআইডি দফতরের পাশাপাশি যোরহাট, ডিফু, শিলচর, বঙাইগাঁও, তেজপুর ও কোকরাঝাড়ে সেগুলি তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি জেলায় একটি করে সাইবার গবেষণাগার গড়তে চায় রাজ্য পুলিশ। সেখানে তদন্তকারীদের কম্পিউটারের খুঁটিনাটি, মোবাইল প্রযুক্তি, হ্যাকিং, সাইবার অপরাধ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
অসম পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি নিয়ে ডিজি জানান— তদন্তকারীরা প্রচুর ডিজিট্যাল তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করেছেন। তা বিশ্লেষণের জন্য হায়দরাবাদ ও গাঁধীনগরে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy