পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীকে খুন করে তাঁর দেহ বাড়ির উঠোনেই পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি অসমের গুয়াহাটির।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার নাম রহিমা খাতুন। তাঁর স্বামী লোহার ছাঁটের ব্যবসা করতেন। গত ২৬ জুন কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন সাবিয়াল রহমান। রহিমার দাবি, প্রায় দিনই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে অশান্তি করতেন স্বামী। ২৬ জুন বিষয়টি চরমে ওঠে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। আর তার জেরে সাবিয়াল গুরুতর চোট পান। তার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ লোপাট করার পরিকল্পনা করেন রহিমা। বাড়ির উঠোনেই পাঁচ ফুট গভীর গর্ত খোঁড়েন। তার পর সেই গর্তে স্বামীর দেহ পুঁতে দেন বলে অভিযোগ। বেশ কিছু দিন ধরে সাবিয়ালকে না দেখতে পেয়ে পড়শিরা রহিমাকে তাঁর কথা জিজ্ঞাসা করেন। রহিমা তখন তাঁদের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্বামী কেরলে কাজে গিয়েছেন। কিন্তু রহিমার আচরণ এবং ভাবভঙ্গিতে পড়শিদের সন্দেহ হয়। সাবিয়ালের পরিবারের লোকজন গত ১২ জুলাই একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পর রহিমা নিজেই থানায় গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান।
রহিমার বাড়ির উঠোন থেকে সাবিয়ালের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এক জন মহিলার পক্ষে এত বড় গর্ত খুঁড়ে তাঁর মধ্যে দেহ পুঁতে দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট সন্দেহজনক। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।