নরেন্দ্র মোদাী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
যুদ্ধস্মারকের মঞ্চেও আক্রমণ কংগ্রেসকে। তার জেরে ফের বিরোধীদের তোপের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, যুদ্ধ স্মারককেও নির্বাচনী সভা বানিয়ে ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক।
স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ২৬ হাজার সৈনিক দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। ক্ষমতায় এলে তাঁদের সম্মানে যুদ্ধস্মারক (ওয়ার মেমোরিয়াল) বানাবে বলে ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। গত পাঁচবছরে তা পূরণ হয়নি। সোমবার দিল্লিতে তার উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই উদ্বোধন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীকে স্বনির্ভর করে তুলছি আমরা। আগে এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়াই সম্ভব হত না। কিন্তু আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছি। জওয়ানদের আত্মবলিদানের জেরেই আজ আমরা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছি।’’ তবে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কৃতিত্ব তাঁর সরকারের বলে দাবি করলেও, ব্যর্থতার সযত্নে এড়িয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। এমনকি যুদ্ধস্মারক তৈরিতে দেরি হওয়ার দায়ও কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত সেই গাড়ির মালিককে চিহ্নিত করল এনআইএ
মোদীর অভিযোগ, ‘‘কংগ্রেস পার্টি নিজেদের দেশের ভাগ্যবিধাতা বলে মনে করে। অথচ দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করতে বাধে না ওদের। দেশ নয়, এতদিন ধরে একটি মাত্র পরিবারকেই প্রাধান্য দিতে হয়েছে। তার জেরেই যুদ্ধস্মারক তৈরিতে এত দেরি হয়েছে।’’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাফাল দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তার পাল্টা হিসাবে এ দিন ফের বোফর্স এবং অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ডকাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘বোফর্স হোক বা চপার চুক্তি, যাবতীয় তদন্তে একটি পরিবারের নামই উঠে এসেছে বারাবর। তাই রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আপনারাই বলুন কোনটির গুরুত্ব বেশি, দেশ না শুধুমাত্র একটা পরিবার? কংগ্রেসের পার্টি বরাবর ওই পরিবারকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং আমার কাছে দেশের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।’’
যুদ্ধস্মারকের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীর এমন বক্তৃতার তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইটারে লেখেন,‘শ্রদ্ধেয় মোদীজি, যুদ্ধস্মারক জওয়ানদের আত্মবলিদানের প্রতীক। সেই মঞ্চকে নির্বাচনী আখড়ায় পরিণত করা, সেখানে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী ভাষণ দেওয়া অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। আপনার এমন আচরণে প্রধানমন্ত্রী পদটির অবমামননা হয়েছে। বীর জওয়ানদের সম্মান জানানোর নামে রাজনৈতিক গালিগালাজ বন্ধ করুন দয়া করে।’
आदरणीय मोदी जी,
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) February 25, 2019
राष्ट्रीय समर स्मारक देश के जवानों की क़ुर्बानी का प्रतीक है।
अपने शर्मनाक व्यवहार व चुनावी भाषण से इसे राजनीति का अखाड़ा मत बनाइये।
अपने पद की गरिमा तो गिरा दी, अब वीरों की भूमि पर राजनैतिक गाली-गलौच बंद करें। #NationalWarMemorial pic.twitter.com/Qnnkuv3wjs
রণদীপ সুরজেওয়ালার টুইট।
আরও পড়ুন: খবর থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের মৃত্যুর মুখে ঠেললেন, রাজনীতি করবেন বলে? আক্রমণাত্মক মমতা
এর আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিলেন। পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি করছেন বলে এ দিনই অভিযোগ তোলেন তিনি।
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy