দলের প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল হেরেছেন। জয় পাননি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও। তবে দলের ‘মানরক্ষা’ করলেন আপ নেত্রী তথা দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা। কালকাজি আসন থেকে জয় পেয়েছেন তিনি। কিন্তু দিল্লি হারাতে হয়েছে আপকে। দলের হার না নিজের জিত, কোনটা বড় আতিশীর কাছে? শনিবার দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নাচের একটি ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) প্রকাশ্যে আসার পরই আতিশীকে নিয়ে সেই প্রশ্নই উঠছে। আতিশীর কীর্তিতে হতবাক তাঁর দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। সমালোচনার সুরে তিনি ঘটনাকে ‘নির্লজ্জ প্রদর্শন’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
বিধানসভা ভোটে অরবিন্দ কেজরীওয়াল, মণীশ সিসৌদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, সৌরভ ভরদ্বাজ, সোমনাথ ভারতীর মতো আপ প্রার্থীরা হেরে গেলেও ব্যতিক্রম আতিশী। দিল্লির আবগারি মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর কাঁধেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়েছিলেন কেজরী। কালকাজি থেকে এ বার লড়েছিলেন তিনি। লড়াই ছিল টানটান। তবে বিজেপির রমেশ বিধুরিকে হারিয়ে ‘সম্মানরক্ষা’ করেন দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। নিজে জিতলেও দলের হার স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের রায় আমরা মেনে নিচ্ছি। আমি জিতেছি, কিন্তু এটা জয় উদ্যাপনের সময় নয়।’’ কিন্তু তার পরই শনিবার রাতে কালকাজিতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর নাচের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন আতিশী।
আপে হার, দলের প্রথম সারির অধিকাংশ নেতার হারের পর কী ভাবে উদ্যাপন করলেন আতিশী, প্রশ্ন তুললেন তাঁরই দলের সহকর্মী স্বাতী। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এ কেমন নির্লজ্জ প্রদর্শন? দল হেরে গেল, সব বড় নেতা হেরে গেলেন, আর উনি (আতিশী মার্লেনা) এ ভাবে উদ্যাপন করছেন?’’ যদিও এ ব্যাপারে আপ বা আতিশী এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন:
এ বারে ভোটে দিল্লিতে ভরাডুবি হয় আপের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬২টি আসন জিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল কেজরীওয়ালের দল। এ বারের নির্বাচনে সেই ৬২ বদলে যায় ২২-এ। ৪৮ আসন পেয়ে ২৭ বছর পর দিল্লিতে প্রত্যাবর্তন হয় বিজেপির। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে দিল্লিতে বিজেপি সাড়ে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এ বার তা প্রায় ৪৬ শতাংশ হয়েছে। কংগ্রেসের ভোটও ২ শতাংশ বেড়েছে। আর আপের সাড়ে ৫৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে সাড়ে ৪৩ শতাংশ।