মুম্বইয়ের কাছে লোকাল ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে চার জনের মৃত্যুর পরে যাত্রী নিরাপত্তায় আরও সতর্ক হল রেল। এ বার মুম্বইয়ের সব লোকাল ট্রেনে স্বয়ংক্রিয় দরজা বসানো হবে। সোমবার সকালেই মুম্বইয়ের ভিড় ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ন’জন। তাঁরা প্রত্যেকের ট্রেনের দরজায় ঝুলছিলেন।
রেল বোর্ডের তথ্য এবং প্রচার বিভাগের অধিকর্তা দিলীপ কুমার জানান, মহারাষ্ট্রে দুর্ঘটনার পরেই রেল মন্ত্রক থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের জন্য নতুন যে কামরাগুলি তৈরি হচ্ছে, সেখানে স্বয়ংক্রিয় দরজা বসানো হবে। পাশাপাশি বর্তমানে যে লোকাল ট্রেনগুলি মুম্বই শহরতলিতে চলাচল করে, সেগুলিতেও স্বয়ংক্রিয় দরজার ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার সকালে মুম্ব্রা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দু’টি ট্রেন পরস্পরের বিপরীত দিক থেকে আসছিল। একটি ট্রেন কাসারার দিকে যাচ্ছিল। অপরটি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই রেললাইনের একটি বাঁকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক স্বপ্নিল নিলা জানান, মৃতেরা প্রত্যকেই ভিড় ট্রেনের দরজায় ঝুলছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেন দু’টি একে অন্যকে অতিক্রম করার সময় দরজায় ঝুলতে থাকা যাত্রীদের পিঠের ব্যাগ একে অন্যের সঙ্গে ঘষে যায়। ওই সময়েই ভারসাম্য রাখতে না পেরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যান যাত্রীরা। কাসারাগামী ট্রেনের গার্ড সেটি কর্তৃপক্ষকে জানান। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চার জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন:
সোমবার সকালে ব্যস্ত সময়ে ট্রেনে ভিড় ছিল বেশি। আধিকারিক সূত্রে খবর, প্রতিদিন প্রায় ৭৫ লক্ষ যাত্রী মুম্বই শহরতলির লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রেনে তিলধারণের জায়গা ছিল না। অনেকে ভিতরে ঢুকতে না-পেরে দরজায় ঝুলছিলেন। ট্রেনের দু’দিকের দরজাতেই অনেকে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই দুর্ঘটনার পরে রেল প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস।