আমিষ খাবার নিয়ে কারও এত সমস্যা থাকলে তিনি এমন রেস্তরাঁ থেকে খাবার কেনেন কেন! প্রশ্ন তুলে অভিযোগ খারিজ করে দিল এক উপভোক্তা বিষয়ক আদালত (জেলা উপভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিশন)। একটি রেস্তরাঁ থেকে ভুল করে তাঁদের আমিষ খাবার দেওয়া হয়েছিল বলে কমিশনে অভিযোগ জানান দুই ব্যক্তি। সম্প্রতি ওই মামলা খারিজ করে আদালতের বক্তব্য, আমিষ খাবারের জন্য কোনও নিরামিষাশী ব্যক্তির ধর্মীয় ভাবাবেগে যদি আঘাত লাগে, তবে তিনি এমন রেস্তরাঁ এড়িয়ে যান না কেন?
কমিশনের পর্যবেক্ষণ, যে রেস্তরাঁ আমিষ এবং নিরামিষ উভয় ধরনের খাবারই পরিবেশন করে, এমন জায়গা থেকে কঠোর ভাবে নিরামিষাশী ব্যক্তিরা খাবার অর্ডার দেন কেন? যে রেস্তরাঁ শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করে, তাঁদের সেখান থেকে খাবার অর্ডার করা উচিত। একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি কিছু খাওয়ার আগে নিরামিষ এবং আমিষের মধ্যে ফারাক করতে পারবেন— এটাই যুক্তিসঙ্গত।
মামলাকারীদের বক্তব্য, তাঁরা একটি রেস্তরাঁ থেকে মোমো এবং ঠান্ডা পানীয় কিনেছিলেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা যে নিরামিষ মোমো নেবেন, তা ওই সময় দু’বার রেস্তরাঁকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেও তাঁদের চিকেন মোমো দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ মামলাকারী পক্ষের। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতির জন্য তাঁরা মানসিক ভাবে আহত হয়েছেন বলে দাবি অভিযোগকারীদের। কমিশনে তাঁরা জানান, ওই আমিষ খাবার পরিবেশনের জন্য তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে এবং তাঁরা মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁরা ওই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের থেকে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে উপভোক্তা আদালতের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন:
যদিও রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ কমিশনে জানান, অভিযোগকারীরা আমিষ খাবারই অর্ডার করেছিলেন। নিজেদের বক্তব্যের সপক্ষে একটি বিলও কমিশনে জমা দেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। বরং, অভিযোগকারীরা রেস্তরাঁর কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তার পরেও রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারীদের বিনামূল্যে ওই খাবার দিয়েছিলেন এবং ১২০০ টাকার একটি খাবারের কুপনও দিয়েছিলেন।