Advertisement
E-Paper

অযোধ্যা শুনানি হতে পারে প্রতিদিন, বলল সুপ্রিম কোর্ট

রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিবাদের নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতায় পাঠিয়েছিল দুই পক্ষকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৪
১৮ জুলাইয়ের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। 

১৮ জুলাইয়ের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। 

এই প্রথম অযোধ্যা মামলায় দৈনিক শুনানির কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট।

রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিবাদের নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতায় পাঠিয়েছিল দুই পক্ষকে। তার জন্য ১৫ অগস্ট পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল তারা। কিন্তু আজ আচমকাই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়ে দিলেন, মধ্যস্থতায় ফল না মিললে ২৫ জুলাই থেকে রোজ অযোধ্যা মামলার শুনানি হবে। ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। রিপোর্ট পাওয়ার পর শুনানির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

সঙ্ঘ পরিবার, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, সাধুদের সংগঠন দৈনিক শুনানিরই দাবি জানাচ্ছিল। মোদী সরকার তথা বিজেপির সরকারি অবস্থান ছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী অযোধ্যায় রামমন্দিরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তাতে দেরি হচ্ছে দেখে অযোধ্যার নানা আখাড়ার সাধুসন্তরা সুপ্রিম কোর্টে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি তুলছিলেন। যুক্তি, বিজেপির বিপুল জয়ের পরেও যদি অযোধ্যায় রামমন্দির না হয়, তা হলে কবে হবে!

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমার আজ বলেন, ‘‘আমাদের আশা, এ বার দ্রুত রায় দেওয়া হবে।’’ রামমন্দির তৈরি এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০-তম অনুচ্ছেদের বিলুপ্তি— বিজেপি-আরএসএসের দু’টি প্রধান লক্ষ্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০-কে অস্থায়ী বলে সরকারের পরিকল্পনা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এ বার রামমন্দিরের পথে আইনি বাধা কেটে গেলে দ্বিতীয় মোদী সরকারের পাঁচ বছরেই দুই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে বিজেপি-আরএসএসের মত।

প্রাক্তন বিচারপতি এফ এম খলিফুল্লা, ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চুর প্যানেলকে শীর্ষ আদালত ১৫ অগস্ট পর্যন্ত মধ্যস্থতার সময় দিলেও ফল মিলছে না বলে সুপ্রিম কোর্টে যান অন্যতম মামলাকারী অযোধ্যার গোপাল সিংহ বিশারদ। নির্মোহী আখাড়া-ও অভিযোগ তোলে, মধ্যস্থতা ঠিক পথে এগোচ্ছে না। আখাড়ার সঙ্গে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের বৈঠকই হয়নি। মুসলিমদের তরফে আইনজীবী রাজীব ধওয়ান বলেন, ‘‘এক পক্ষ অধৈর্য হয়ে পড়েছে বলে আদালতের নির্দেশ খারিজ করতে আদালতে আসতে পারে না। এই আর্জি কি আমাদের ভয় দেখানোর জন্য?’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Ayodhya Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy