বিশ্বে প্রথম! রামমন্দিরের পর আবার একটি আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে অযোধ্যা। উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘রামায়ণ-ভিত্তিক মোমের জাদুঘর।’ যা নিয়ে নবম দীপোৎসবের আগে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের উন্মাদনা শুরু হয়ে গিয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, ‘‘রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার মতো অনলাইন বুকিং হবে। উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে যাতে রামায়ণের জাদুঘর দেখতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন সকলে।’’
দীপাবলিকে কেন্দ্র করে অযোধ্যার উন্মাদনা বরাবরই অন্যরকম। এ বার তা অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। কারণ, আগামী ১০ অক্টোবর, রবিবার ‘রামায়ণ-ভিত্তিক জাদুঘর’-এর উদ্বোধন করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। চোদ্দ কাশী পরিক্রমা মার্গে কাশী কলোনির ঠিক বিপরীতে প্রায় ৯৮৫০ বর্গফুট জুড়ে তৈরি জাদুঘর তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি টাকা। ট্রাস্টের দাবি, এ বার অযোধ্যা দর্শনে এলে এক ভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন দর্শনার্থীরা।
অপূর্ব শৈল্পিক ছোঁয়ায় রামায়ণের সাতকাণ্ড জীবন্ত করে তোলা হয়েছে মোম দিয়ে। রাম, লক্ষ্মণ, সীতা-সহ রামায়ণের প্রায় ৫০টি মোমের মূর্তি থাকছে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই জাদুঘরে। রাম এবং রাবণের যুদ্ধ থেকে সীতাহরণ, হনুমানের লঙ্কাযাত্রা থেকে রামসেতু নির্মাণ, রামায়ণের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সাজানো হয়েছে মোম এবং আধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে। শব্দ-আলোর প্রক্ষেপণ এবং ‘ইন্টার্যাক্টিভ ডিসপ্লে’-এর মাধ্যমে জীবন্ত করে তুলবে। ত্রেতাযুগকে ধরতে ‘রামতারক মন্ত্র’ এবং রাম ভজনের ধ্বনি আধ্যাত্মিক অনুভূতি তৈরি করবে।
জাদুঘরটি তৈরি করেছে কেরলের সংস্থা ‘সুনীল ওয়াক্স মিউজিয়াম।’ ওই সংস্থার প্রধান সুনীল বলেন, ‘‘এর আগে লোনাভালা (মহারাষ্ট্র) এবং তিরুঅনন্তপুরম (কেরল)-তে নামী মানুষদের মোমের জাদুঘর তৈরি করেছি আমরা। তবে অযোধ্যার এই ‘রামায়ণ জাদুঘর’টি সত্যিই আলাদা। আমরা রামায়ণের ৫০টি চরিত্রকে এমন ভাবে তৈরি করেছি যে, দর্শনার্থীরা মনে করবেন তাঁরা যেন ত্রেতাযুগে প্রবেশ করেছেন।’’
একসঙ্গে ১০০ জন দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন ওই জাদুঘরে। থাকছে বিশেষ নিজস্বী পয়েন্ট। সেখানে ছবি তোলা যাবে। জাদুঘরের প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। রামমন্দির ট্রাস্ট জানিয়েছে, ‘রাম দরবার’ দর্শন উপলক্ষে আবার ২৯ অক্টোবর রাত থেকে অনলাইন বুকিং শুরু হবে। চলবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত।