রাম-সীতা-লব-কুশের ছবির পসরা সাজিয়ে বসেছে ১৭ বছরের পূজা। এখনও ভোট দেওয়ার বয়স হয়নি। বিজেপি না সমাজবাদী পার্টি—কাকে ভোট দেওয়া উচিত, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়নি। কিন্তু পূজা রামমন্দির চায়। তা হলে হনুমান গড়ি থেকে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে যাওয়ার রাস্তায় পূজার দোকানে খদ্দের উপচে পড়বে।
বছর পঁচিশের ঘনশ্যামের চাহিদাও এক। ওই চত্বরেই বাবরি মসজিদ ভাঙা, লালকৃষ্ণ আডবাণী-উমা ভারতীর বক্তৃতা, করসেবকদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর ভিডিও সিডি বিক্রি করে সে। ঘনশ্যামও চায়, মন্দির হোক। তা হলে দেশবিদেশের পর্যটক আসবেন। ঘনশ্যামের ব্যবসা বাড়বে।
অযোধ্যা তা-ই রামমন্দির চায় রুটিরুজির তাগিদে। সরযূ নদীর তীরে হলেও অযোধ্যার জমি উর্বর নয়। চাষআবাদ তেমন হয় না। শিল্প নেই। বাইরের মানুষ আসেন রাম জন্মভূমি দেখতে। কিন্তু সে তো লোহার বেড়ায় ঘেরা। বাইরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, ভিতরে সিআরপি। পাঁচ বার খানাতল্লাশি পেরিয়ে, লোহার খাঁচার ভিতর দিয়ে হেঁটে রাম ও তাঁর তিন ভাইয়ের বালক-মূর্তি দর্শন।
বেসনের লাড্ডুর দোকানের মালিক অভয় তিওয়ারির কথায়, “রামের জন্মভূমি অযোধ্যাও দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। যেমন কৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরা হয়েছে।’’ গত বছর সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, অযোধ্যায় রামায়ণ সংগ্রহশালা হবে। রাজনীতিকদের মতে, তাতেই অযোধ্যায় বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বিজেপির উত্তরপ্রদেশ জয়ের পরে রামমন্দির চান অযোধ্যাবাসী। ধর্ম নয়, পেটের দায়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy