শীতে চুলের শুষ্ক ভাব নতুন নয়। শ্যাম্পু করলে সেই শুষ্ক ভাব আরও বাড়ে। কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুলকে আপাত ভাবে নরম রাখা যায় ঠিকই তবে রোজ রোজ বাজারচলতি কন্ডিশনার চুলে ব্যবহার করতে অনেকেই কিন্তুবোধ করেন।
মুশকিল হল শীতে মাথার ত্বকেও শুষ্ক ভাব এবং তা থেকে খুশকির সমস্যা হয়। ফলে বাধ্য হয়েই নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হয়। এমতাবস্থায় শ্যাম্পু করার পরে রোজ প্যাকেটজাত কন্ডিশনারের বদলে সপ্তাহে এক দিন বা দু’ দিন প্রাকৃতিক কিছু কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে আবার রাসায়নিকের ভয়ও থাকবে না।
১. নারকেল তেল ও মধুর মিশ্রণ
নারকেল তেল চুলের গভীরে গিয়ে পুষ্টি জোগায় এবং মধু একটি প্রাকৃতিক ‘হিউমেক্ট্যান্ট’, যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন? ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
২. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান এবং এনজাইম থাকে যা শুষ্ক ও প্রাণহীন চুলকে তাৎক্ষণিকভাবে নরম করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের চুলকানি কমাতেও বেশ কার্যকর।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন? টাটকা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগান। ২০ মিনিট রেখে সাধারণ জল বা হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. টক দই ও কলার প্যাক
কলায় থাকা পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক তেল চুলকে ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে বাঁচায়। টক দই চুলের রুক্ষতা দূর করে কন্ডিশনারের কাজ করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন? একটি পাকা কলা চটকে তার সাথে ২ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া যা যা মনে রাখা জরুরি
১। শীতকালে চুল ধোয়ার জন্য কখনোই খুব গরম জল ব্যবহার করবেন না, এতে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যায়। সবসময় ঈষদুষ্ণ বা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল ব্যবহার করুন।
২। সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি কন্ডিশনিং প্যাক ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।