বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই মন্দিরটির দৈর্ঘ্য হবে ২৬৮ ফুট এবং প্রস্থ ১৪০ ফুট। ১২৮ ফুটের উচ্চতার এই মন্দিরের প্রথম তলা ১৮ ফুট উঁচু এবং দ্বিতীয় তলের উচ্চতা ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এর প্রথম তলায় থাকবেন রামলালা বিরাজমানের মূর্তি। দ্বিতীয় তলায় রাম দরবার গড়া হবে, যেখানে রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হবে।
মন্দিরের কাঠামোয় সিমেন্ট-বালি, লোহার রড ব্যবহার করা হবে। শোনা যাচ্ছে, গোটা মন্দিরটাই গড়া হচ্ছে নজরকাড়া গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে। রাজস্থানের ভরতপুরের অদূরে বাঁশিপাহাড়পুর থেকে আসছে সেই গোলাপি বেলেপাথর। সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন, লালকেল্লা বা বুলন্দ দরওয়াজা গড়তেও দেশ-বিদেশে সুনাম ছড়ানো এই বেলেপাথরই ব্যবহৃত হয়েছে।
মন্দিরের বিভিন্ন অংশ তো গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে গোটা মন্দির তৈরি করতে কত সময় লাগবে? শরদ শর্মা বলেন, “এর পরেও গোটা মন্দির গড়তে দুই থেকে আড়াই বছর লাগবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পাথরগুলিকে মন্দিরস্থলে নিয়ে যেতেই অন্তত মাস ছয়েক সময় লেগে যাবে। তবে কর্মশালার সুপারভাইজারের মতে, মন্দির তৈরিতে বছর পাঁচেক সময় লাগবে।
মন্দিরের কাঠামো তো গড়া হচ্ছে। তবে গোটা মন্দির গড়ার খরচ উঠবে কী ভাবে? কোনও কোনও সূত্রের মতে, এ জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সংগ্রহে রয়েছে ৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। তবে তার সিংহ ভাগ মন্দিরের কাঠামো তৈরির কাজে খরচ হয়ে গিয়েছে। অযোধ্যার কর্মশালার জন্য একটি পাথর কাটার মেশিন বা গুজরাত থেকে আনা জেনারেটরের পিছনেই খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy