Advertisement
০৪ মে ২০২৪
National Gallery

গোলাপি বেলেপাথর, চন্দনকাঠের দরজা... কেমন দেখতে হতে পারে প্রস্তাবিত রামমন্দির? দেখে নিন

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে সদ্য। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামলালা বিরাজমানের মন্দির নির্মাণের পক্ষেই সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে এই রায়ের বহু আগে থেকেই রামের মন্দিরের কাঠামো গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৈরি রাম জন্মভূমি ন্যাস। কেমন হতে পারে মন্দির?

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:৪৪
Share: Save:
০১ ১৪
সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে সদ্য। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামলালা বিরাজমানের মন্দির নির্মাণের পক্ষেই সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে এই রায়ের বহু আগে থেকেই রামের মন্দিরের কাঠামো গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৈরি রাম জন্মভূমি ন্যাস। কেমন হতে পারে মন্দির?

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে সদ্য। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামলালা বিরাজমানের মন্দির নির্মাণের পক্ষেই সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে এই রায়ের বহু আগে থেকেই রামের মন্দিরের কাঠামো গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৈরি রাম জন্মভূমি ন্যাস। কেমন হতে পারে মন্দির?

০২ ১৪
প্রায় তিন দশক আগে এই মন্দিরের নকশা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। যদিও এখনও পযর্ন্ত এতে কোনও সরকারি অনুমোদন মেলেনি। তবে তাতে থেমে থাকেনি এর কাজ। অযোধ্যায় একটি কর্মশালায় এর কাজ কখনও ধীরে, কখনও বা জোর কদমে এগিয়ে চলেছে।

প্রায় তিন দশক আগে এই মন্দিরের নকশা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। যদিও এখনও পযর্ন্ত এতে কোনও সরকারি অনুমোদন মেলেনি। তবে তাতে থেমে থাকেনি এর কাজ। অযোধ্যায় একটি কর্মশালায় এর কাজ কখনও ধীরে, কখনও বা জোর কদমে এগিয়ে চলেছে।

০৩ ১৪
অযোধ্যায় সরযূ নদীর সামনে এই মন্দির হবে বিশালাকায়। দোতলা এই মন্দিরের কাঠামো গড়ার কাজ চলছে অযোধ্যার করসেবকপুরমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদর দফতর থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি কর্মশালায়। বিতর্কিত রাম জন্মভূমি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ওই কর্মশালাটি রয়েছে রামঘাট চৌরাস্তায়।

অযোধ্যায় সরযূ নদীর সামনে এই মন্দির হবে বিশালাকায়। দোতলা এই মন্দিরের কাঠামো গড়ার কাজ চলছে অযোধ্যার করসেবকপুরমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদর দফতর থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি কর্মশালায়। বিতর্কিত রাম জন্মভূমি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ওই কর্মশালাটি রয়েছে রামঘাট চৌরাস্তায়।

০৪ ১৪
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই মন্দিরটির দৈর্ঘ্য হবে ২৬৮ ফুট এবং প্রস্থ ১৪০ ফুট। ১২৮ ফুটের উচ্চতার এই মন্দিরের প্রথম তলা ১৮ ফুট উঁচু এবং দ্বিতীয় তলের উচ্চতা ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এর প্রথম তলায় থাকবেন রামলালা বিরাজমানের মূর্তি। দ্বিতীয় তলায় রাম দরবার গড়া হবে, যেখানে রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হবে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই মন্দিরটির দৈর্ঘ্য হবে ২৬৮ ফুট এবং প্রস্থ ১৪০ ফুট। ১২৮ ফুটের উচ্চতার এই মন্দিরের প্রথম তলা ১৮ ফুট উঁচু এবং দ্বিতীয় তলের উচ্চতা ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এর প্রথম তলায় থাকবেন রামলালা বিরাজমানের মূর্তি। দ্বিতীয় তলায় রাম দরবার গড়া হবে, যেখানে রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হবে।

০৫ ১৪
মন্দিরের কাঠামোয় সিমেন্ট-বালি, লোহার রড ব্যবহার করা হবে। শোনা যাচ্ছে, গোটা মন্দিরটাই গড়া হচ্ছে নজরকাড়া গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে। রাজস্থানের ভরতপুরের অদূরে বাঁশিপাহাড়পুর থেকে আসছে সেই গোলাপি বেলেপাথর। সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন, লালকেল্লা বা বুলন্দ দরওয়াজা গড়তেও দেশ-বিদেশে সুনাম ছড়ানো এই বেলেপাথরই ব্যবহৃত হয়েছে।

মন্দিরের কাঠামোয় সিমেন্ট-বালি, লোহার রড ব্যবহার করা হবে। শোনা যাচ্ছে, গোটা মন্দিরটাই গড়া হচ্ছে নজরকাড়া গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে। রাজস্থানের ভরতপুরের অদূরে বাঁশিপাহাড়পুর থেকে আসছে সেই গোলাপি বেলেপাথর। সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন, লালকেল্লা বা বুলন্দ দরওয়াজা গড়তেও দেশ-বিদেশে সুনাম ছড়ানো এই বেলেপাথরই ব্যবহৃত হয়েছে।

০৬ ১৪
প্রায় ২৮ বছর ধরে রাজস্থানের বাঁশিপাহাড়পুর থেকে অযোধ্যার কর্মশালায় গোলাপি বেলেপাথরগুলি আনা হচ্ছে। মির্জাপুর, আগরা, রাজস্থান, গুজরাত-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই কারিগরেরা তা প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে তা মন্দিরের কাঠামোর উপযোগী করে তুলছেন।

প্রায় ২৮ বছর ধরে রাজস্থানের বাঁশিপাহাড়পুর থেকে অযোধ্যার কর্মশালায় গোলাপি বেলেপাথরগুলি আনা হচ্ছে। মির্জাপুর, আগরা, রাজস্থান, গুজরাত-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই কারিগরেরা তা প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে তা মন্দিরের কাঠামোর উপযোগী করে তুলছেন।

০৭ ১৪
মন্দিরের বেশির ভাগ পাথরে খোদাই করা থাকবে ফুল, দেব-দেবীর কারুকাজ। তবে রামের মন্দির হলেও এর বহিরঙ্গের সঙ্গে নাকি বেশি মিল পাওয়া যেতে পারে গাঁধীনগরের অক্ষরধাম মন্দিরের। অক্ষরধাম মন্দিরের মতোই এই রামমন্দিরের নকশা তৈরি করেছেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। মাত্র তিন মাসেই এই কাজ করেন ওই আর্কিটেক্ট।

মন্দিরের বেশির ভাগ পাথরে খোদাই করা থাকবে ফুল, দেব-দেবীর কারুকাজ। তবে রামের মন্দির হলেও এর বহিরঙ্গের সঙ্গে নাকি বেশি মিল পাওয়া যেতে পারে গাঁধীনগরের অক্ষরধাম মন্দিরের। অক্ষরধাম মন্দিরের মতোই এই রামমন্দিরের নকশা তৈরি করেছেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। মাত্র তিন মাসেই এই কাজ করেন ওই আর্কিটেক্ট।

০৮ ১৪
শরদ শর্মা নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা জানিয়েছেন, মন্দিরে ছ’টা ভাগ থাকবে। অগ্রদ্বার, সিংহদ্বার, নৃত্যমণ্ডপ, রংমণ্ডপ, পরিক্রমা এবং গর্ভগৃহ। শরদ বলেন, ‘‘মন্দির তৈরি করতে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ঘনফুট পাথর ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ঘনফুট পাথর কাটা হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলির কাজ চলছে।’’

শরদ শর্মা নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা জানিয়েছেন, মন্দিরে ছ’টা ভাগ থাকবে। অগ্রদ্বার, সিংহদ্বার, নৃত্যমণ্ডপ, রংমণ্ডপ, পরিক্রমা এবং গর্ভগৃহ। শরদ বলেন, ‘‘মন্দির তৈরি করতে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ঘনফুট পাথর ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ঘনফুট পাথর কাটা হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলির কাজ চলছে।’’

০৯ ১৪
মন্দিরে ২১২টি স্তম্ভ থাকবে। প্রতিতলাতেই ১০৬টা করে স্তম্ভ থাকবে বলে জানিয়েছেন শরদ। তিনি বলেন, ‘‘তিন ধরনের স্তম্ভ থাকবে। একতলার স্তম্ভগুলো সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা এবং দোতলার স্তম্ভগুলো সাড়ে ১৪ ফুট লম্বা। প্রতিটি স্তম্ভেই ১৬টা করে যক্ষ ও যক্ষ্মিণীর মূর্তি খোদাই করা থাকবে।’’

মন্দিরে ২১২টি স্তম্ভ থাকবে। প্রতিতলাতেই ১০৬টা করে স্তম্ভ থাকবে বলে জানিয়েছেন শরদ। তিনি বলেন, ‘‘তিন ধরনের স্তম্ভ থাকবে। একতলার স্তম্ভগুলো সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা এবং দোতলার স্তম্ভগুলো সাড়ে ১৪ ফুট লম্বা। প্রতিটি স্তম্ভেই ১৬টা করে যক্ষ ও যক্ষ্মিণীর মূর্তি খোদাই করা থাকবে।’’

১০ ১৪
গোটা মন্দির ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি উঁচু বেদির উপর গড়ে তোলা হবে। মন্দিরের প্রথম চত্বরটি হবে ৮ ফুট উঁচু। ওই চত্বর ছাড়িয়ে এগিয়ে গেলে থাকবে ১০ ফুটের চওড়া পরিক্রমা মার্গ।

গোটা মন্দির ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি উঁচু বেদির উপর গড়ে তোলা হবে। মন্দিরের প্রথম চত্বরটি হবে ৮ ফুট উঁচু। ওই চত্বর ছাড়িয়ে এগিয়ে গেলে থাকবে ১০ ফুটের চওড়া পরিক্রমা মার্গ।

১১ ১৪
মন্দিরের গর্ভগৃহের উপরে ১৬ ফুট ৩ ইঞ্চির একটি বেদি গড়়ে তার উপরে স্থাপিত হবে রামলালা বিরাজমানের মূর্তি। মূর্তির উপরে ১৩২ ফুট উঁচু গম্বুজ থাকবে। কর্মশালার এক কর্মী শ্রীরাম জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহটি আটকোণা হবে। তা ছাড়া, গোটা মন্দিরটিই গড়ে তোলা হবে নগর স্টাইল স্থাপত্যশৈলী অনুযায়ী।

মন্দিরের গর্ভগৃহের উপরে ১৬ ফুট ৩ ইঞ্চির একটি বেদি গড়়ে তার উপরে স্থাপিত হবে রামলালা বিরাজমানের মূর্তি। মূর্তির উপরে ১৩২ ফুট উঁচু গম্বুজ থাকবে। কর্মশালার এক কর্মী শ্রীরাম জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহটি আটকোণা হবে। তা ছাড়া, গোটা মন্দিরটিই গড়ে তোলা হবে নগর স্টাইল স্থাপত্যশৈলী অনুযায়ী।

১২ ১৪
এই মন্দিরে ২৪টি দরজা থাকবে বলে জানিয়েছেন শরদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি দরজাই হবে চন্দনকাঠের তৈরি। কেবল পাথর দিতে গড়া এই মন্দিরের নির্মাণে তামা ছাড়া অন্য কোনও ধাতু ব্যবহার করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এই মন্দিরে ২৪টি দরজা থাকবে বলে জানিয়েছেন শরদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি দরজাই হবে চন্দনকাঠের তৈরি। কেবল পাথর দিতে গড়া এই মন্দিরের নির্মাণে তামা ছাড়া অন্য কোনও ধাতু ব্যবহার করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

১৩ ১৪
মন্দিরের বিভিন্ন অংশ তো গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে গোটা মন্দির তৈরি করতে কত সময় লাগবে? শরদ শর্মা বলেন, “এর পরেও গোটা মন্দির গড়তে দুই থেকে আড়াই বছর লাগবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পাথরগুলিকে মন্দিরস্থলে নিয়ে যেতেই অন্তত মাস ছয়েক সময় লেগে যাবে। তবে কর্মশালার সুপারভাইজারের মতে, মন্দির তৈরিতে বছর পাঁচেক সময় লাগবে।

মন্দিরের বিভিন্ন অংশ তো গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে গোটা মন্দির তৈরি করতে কত সময় লাগবে? শরদ শর্মা বলেন, “এর পরেও গোটা মন্দির গড়তে দুই থেকে আড়াই বছর লাগবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পাথরগুলিকে মন্দিরস্থলে নিয়ে যেতেই অন্তত মাস ছয়েক সময় লেগে যাবে। তবে কর্মশালার সুপারভাইজারের মতে, মন্দির তৈরিতে বছর পাঁচেক সময় লাগবে।

১৪ ১৪
মন্দিরের কাঠামো তো গড়া হচ্ছে। তবে গোটা মন্দির গড়ার খরচ উঠবে কী ভাবে? কোনও কোনও সূত্রের মতে, এ জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সংগ্রহে রয়েছে ৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। তবে তার সিংহ ভাগ মন্দিরের কাঠামো তৈরির কাজে খরচ হয়ে গিয়েছে। অযোধ্যার কর্মশালার জন্য একটি পাথর কাটার মেশিন বা গুজরাত থেকে আনা জেনারেটরের পিছনেই খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা।

মন্দিরের কাঠামো তো গড়া হচ্ছে। তবে গোটা মন্দির গড়ার খরচ উঠবে কী ভাবে? কোনও কোনও সূত্রের মতে, এ জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সংগ্রহে রয়েছে ৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। তবে তার সিংহ ভাগ মন্দিরের কাঠামো তৈরির কাজে খরচ হয়ে গিয়েছে। অযোধ্যার কর্মশালার জন্য একটি পাথর কাটার মেশিন বা গুজরাত থেকে আনা জেনারেটরের পিছনেই খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE