Advertisement
E-Paper

রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লির সুরেই সুর মেলাল ঢাকা

সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের জঙ্গি-যোগের বিষয়টি নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। উদ্বিগ্নও বটে। সে দিক দিয়ে তারা নিরাপত্তার পক্ষে অবশ্যই ঝুঁকির।’’ আলম জানান, মানবিক কারণে ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা তাঁরা করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৮

মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢলকে নিরাপত্তার পক্ষে ঝুঁকি বলে মানছে বাংলাদেশও। সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের জঙ্গি-যোগের বিষয়টি নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। উদ্বিগ্নও বটে। সে দিক দিয়ে তারা নিরাপত্তার পক্ষে অবশ্যই ঝুঁকির।’’ আলম জানান, মানবিক কারণে ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা তাঁরা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশ চায় মায়ানমার সরকার সব রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত নিক। কোফি আন্নান কমিটির সুপারিশ মেনে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও সচেষ্ট হোক।

সোমবার কলকাতায় একটি আলোচনাসভায় বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায়— ১৬ কোটি বাঙালি যদি খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, তবে ৮ লাখ শরণার্থীকেও তাঁরা খাওয়াতে পারেন। মানবিক কারণেই আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি।’’ শাহরিয়ার আলম জানান, কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থী চিরকাল বাংলাদেশে থেকে যেতে পারেন না। এর ফলে অর্থনীতিতে যে চাপ পড়বে, আজকের বাংলাদেশ তা সামলে নিতে সক্ষম। কিন্তু এই জনগোষ্ঠীকে নিয়ে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাদের জঙ্গি-যোগের বিষয়টি তো রয়েছেই।

আরও পড়ুন: মোদীর সভায় লোক পাঠাতে নারাজ মাদ্রাসা

শাহরিয়ার আলম জানান, এই সমস্যার দিনে ভারত আদর্শ বন্ধুর মতো বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা এক দফা ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। আরও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে। সেই সঙ্গে শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে দিল্লি ইতিমধ্যেই মায়ানমার সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে। ঢাকা ও দিল্লি এ বিষয়ে একযোগে মায়ানমার প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াবে বলে তিনি জানান।

বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর কথায়, শরণার্থী সমস্যা স্থায়ী ভাবে মিটতে পারে একমাত্র মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে। এই সমস্যা মেটাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নানের নেতৃত্বে একটি কমিশন গড়েছিল মায়ানমার সরকার। সেই কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে। আলম বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী ভাবে মেটানোর যথেষ্ট উপকরণ এই রিপোর্টে রয়েছে। ঢাকা চায়, এই রিপোর্ট মেনে মায়ানমার সরকার সে কাজে সক্রিয় হোক।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উদ্যোগে এ দিনের আলোচনাসভায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের এগোনোর কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী। এমনকী রোহিঙ্গা সমস্যাও আজ সামলে নেওয়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামও এ দিন আলোচনায় অংশ নেন।

Shahriar Alam Rohingya Muslims Refugess Myanmar Terrorists ISIS Islamic State শাহরিয়ার আলম
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy