Advertisement
E-Paper

প্রতিশ্রুতি রাখায় মমতা-মোদীকে ধন্যবাদ হাসিনার

রাষ্ট্রপতির স্ত্রীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরও একটু সম্পর্ক- ঝালাই করে নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুষ্ঠু ভাবে স্থল সীমান্ত চুক্তি রূপায়ণ করে প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান হাসিনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৫ ০২:৩৯
‘ফার্স্ট লেডি’ শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের অন্ত্যেষ্টিতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

‘ফার্স্ট লেডি’ শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের অন্ত্যেষ্টিতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

রাষ্ট্রপতির স্ত্রীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরও একটু সম্পর্ক- ঝালাই করে নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুষ্ঠু ভাবে স্থল সীমান্ত চুক্তি রূপায়ণ করে প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান হাসিনা।

লোদী রোড শ্মশানেই আজ মমতার সঙ্গে দেখা হয় হাসিনার। উভয়ের সৌজন্য বিনিময়ও হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সেখানেই ছিলেন। পরে সাত নম্বর রেস কোর্স রোডে নিজের বাসভবনে হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। শেখ হাসিনার কন্যা সাইমা হোসেন ও বোন শেখ রেহানাও সেখানে ছিলেন। এর মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনা সেরে ফেলেন দু’জনে। তাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী যেমন নির্বিঘ্নে স্থল সীমান্ত চুক্তি রূপায়ণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন, তেমনই সার্ক দেশভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে বিপর্যয় মোকাবিলার মহড়ার বন্দোবস্ত করার প্রস্তাব দেন। ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য আরও বাড়ানোর উপরে জোর দেন হাসিনা। খুব শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ সফরে ভারতে আসার জন্য হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদী। হাসিনা সেই আমন্ত্রণ
স্বীকারও করেন।

প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রের খবর— শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদী বলেন, স্থল সীমান্ত চুক্তি যে ভাবে সুষ্ঠু রূপায়ণ হয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া এক, সেটি রূপায়ণ করা আরও অনেক বেশি কঠিন। গোটা বিশ্বের কাছে এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। এর মধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলির যৌথ মহড়ার প্রস্তাব দেন মোদী। নেপালে ভূমিকম্পের পর এই বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গেও আগে আলোচনা করেছিলেন মোদী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই প্রস্তাবকে এ দিন স্বাগত জানিয়েছেন।

তবে হাসিনা গুরুত্ব দেন দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও প্রসারের জন্য। হাসিনা বলেন, দুই দেশের বড় বাজার রয়েছে। একে অন্যের অর্থনৈতিক ফায়দার জন্য দুই দেশ আরও এক সঙ্গে কাজ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রের মতে, ঢাকার বৈঠকে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ পার্ক তৈরি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে মোটর ভেহিক্যাল চুক্তির গতিবিধি নিয়েও স্বাগত জানিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

মোদী তাঁর ঢাকা সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ও জাদুঘর দেখে তিনি আপ্লুত। ভারতেও সংগ্রহশালাগুলিকে ডিজিটাল ও আরও আধুনিক করে তোলার জন্য তিনি তৎপর হচ্ছেন। এ জন্য খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে একটি টিম পাঠাতে চান মোদী।

Bangladesh Sheikh Hasina President Mukherjee pranab mukherjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy