Advertisement
E-Paper

ধর্ষণের দায়ে বাংলাদেশি যুবকের ৮ বছরের কারাদণ্ড, অনুপ্রবেশের জন্য ৫ বছরের জেল স্ত্রীর

২০১৭ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুম্বইয়ের একটি বাড়ি থেকে দুই ‘নির্যাতিতা’কে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারির পরে জানা যায়, অভিযুক্ত এ দেশের বাসিন্দাই নন। স্ত্রী এবং আত্মীয়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে মহারাষ্ট্রে রয়েছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪২
arrest

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অবৈধ ভাবে এ দেশে ঢুকেছিলেন। তার পর থাকা-খাওয়া, রুজিরুটি, সবই ভারতে। মহারাষ্ট্রে একটি ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন সেই বাংলাদেশি যুবক। ঠাণের আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ওই নির্দেশনামাতেই অনুপ্রবেশের দায়ে আসামির স্ত্রী এবং এক আত্মীয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তের নাম জসীম সবুর মোল্লা। বয়স ২৬ বছর। মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে দুই নাবালিকাকে ভারতে পাচার করা এবং পরে তাঁদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। ২০১৭ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুম্বইয়ের একটি বাড়ি থেকে দুই ‘নির্যাতিতা’কে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারির পরে জানা যায়, অভিযুক্ত এ দেশের বাসিন্দাই নন। স্ত্রী এবং আত্মীয়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে মহারাষ্ট্রে রয়েছেন।

বছর আটেক ধরে ওই মামলা চলার পর গত শুক্রবার জসীমকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। গত শুক্রবার তাঁর সাজা ঘোষণার সময় পকসো আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেননি বিচারক। কারণ, দুই ‘নির্যাতিতা’র বয়সের প্রমাণপত্র পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, জসীমের স্ত্রী এবং আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মানব পাচার এবং দুই তরুণীর সঙ্গে জসীমের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ স্থাপনের অভিযোগও খারিজ করা হয়। কিন্তু ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন জসীম।

অন্য দিকে, তাঁর স্ত্রী এবং আত্মীয়ের বিরুদ্ধে বৈধ পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অনুপ্রবেশ-সহ বিদেশি নাগরিক আইনে দোষী সাব্যস্ত ওই দু’জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী যোগেন্দ্র পাতিল জানান, এই মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। বাংলাদেশি নাগরিকদের এনে মধুচক্র এবং দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে ধৃত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ না-থাকায় তাঁদের বেকসুর খালাস করা হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ দুর্বল এবং বিশ্বাসযোগ্য নয়। দোষীদের সাজা শেষ হলে তাঁদের বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Bangladeshi arrest Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy