মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশের চোখ এড়িয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেন বাংলাদেশি মহিলা। ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্ট এবং জন্মের শংসাপত্র বানিয়ে মুম্বইয়ে থাকছিলেন। গত ৭ অগস্ট মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল ভাসি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই বাংলাদেশি মহিলার নাম রুবিনা ইরশাদ শেখ। তার পর তাঁকে বাউকুল্লা জেলে রাখা হয়েছিল। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুবিনা। গত ১১ অগস্ট মহিলা জানান, তাঁর জ্বর এসেছে। ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তার পরই শারীরিক পরীক্ষার জন্য রুবিনাকে জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশি প্রহরায় সেখানেই চিকিৎসা চলছিল রুবিনার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভিড় ছিল যথেষ্ট। তাঁর পাহারায় থাকা মহিলা কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পর হুলস্থুল পড়ে যায়। বাংলাদেশি ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকটি দল গঠন করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কোনও বন্দিকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এলে তাঁর জন্য যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, এ ক্ষেত্রে তেমন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন আগে তাদের কাছে খবর এসেছিল ভাসি এলাকায় এক বাংলাদেশি পরিচয় গোপন করে থাকছেন। সেই খবর পেয়েই ভাসি থানা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে রুবিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্ট এবং জন্মের শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ ওঠে। পাসপোর্ট আইন এবং বিদেশি আইনে গ্রেফতার করা হয় রুবিনাকে। তার পর থেকেই তাঁর ঠিকানা ছিল বাইকুল্লার মহিলা জেল। শারীরিক পরীক্ষার সময় পুলিশ জানতে পারে, রুবিনা অন্তঃসত্ত্বা। তার মধ্যে শরীর খারাপ হওয়ায় জেজে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে পালালেন তিনি।