নোট বাতিলের জেরে বাম দলগুলির ডাকা বন্ধ তথা হরতালের কোনও প্রভাব করিমগঞ্জে না পড়লেও বামশাসিত ত্রিপুরার কারণে দক্ষিণ অসমের রেল পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হয়েছে। আগরতলা-শিলচর প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ধর্মনগরে আটকে পড়ে শাসক বামেদের অবরোধে। ফলে সঙ্কটের মুখে পড়েন করিমগঞ্জ-শিলচরের যাত্রীরা। অনুরূপ ভাবে বন্ধের কারণে শিলচর থেকে আসা ট্রেনও আজ ত্রিপুরায় ঢুকতে পারেনি। রেল পরিষেবা ছাড়া করিমগঞ্জের সার্বিক জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, দোকান সব কিছুই খোলা ছিল। বন্ধের ডাক দিলেও করিমগঞ্জ শহরে সিপিএমের কোন ক্যাডারকেই পথে দেখা যায়নি।
করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে ইন্দিরা ভবনের বাইরে আজ ধর্না কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ, প্রাক্তন সাংসদ ললিতমোহন শুক্লবৈদ্য-সহ বিভিন্ন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা কেন্দ্রের নোট বাতিলের বিরোধিতা করেন। প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গদিতে বসার আগে কত সুন্দর সুন্দর কথা বলেছিলেন। কিন্তু তার বাস্তবিক প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি। কালো টাকার নামে ভারতের দুঃস্থ মানুষদের হয়রানির শিকার করা হয়েছে। তাঁরক মতে, ভারত উন্নয়নশীল দেশ। আমেরিকা কিংবা জাপানের মতো উন্নত দেশ নয়। এখানে এখনই ‘ক্যাশলেস’ অর্থনীতির পরিকল্পনা নিলে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে। কংগ্রেস নেতাদের কথায়, মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করার কথা প্রধানমন্ত্রী বলছেন। কিন্তু ভারতের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ লোকের হাতে মোবাইলই নেই। আর যদিও বা থাকে তা অনেকেই চালাতে পারেন না। ফলে মোবাইল দিয়ে টাকা লেনদেন করা কঠিন। বিজেপি সরকার দরিদ্র জনগণের কথা চিন্তা না করে পুঁজিপতিদের কথা বেশি করে ভাবছে বলে সিদ্দেক আহমেদ অভিযোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের মাকে দিয়ে একদিন টাকা তুলিয়ে শুধু চমক সৃষ্টি করেছেন বলে কংগ্রেসিদের অভিযোগ। কংগ্রেসের এই ধর্না কর্মসূচিতে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থও একই ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।