—ফাইল চিত্র।
বি কে শর্মা কমিটির সুপারিশগুলি গত কাল ফাঁস করেছে আসু। সুপারিশগুলি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বরাকে। অনেকের অভিযোগ, বরাকবাসী-সহ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অ-অসমিয়াদের জনপ্রতিনিধিত্ব, নিযুক্তি, জমি কেনাবেচার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতেই নানা সুপারিশ করেছে কমিটি। সরকার অবশ্য তাদের রিপোর্ট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি আলোচনাও হয়নি এখনও।
কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেবের বক্তব্য, সংরক্ষণ সব সময় সংখ্যালঘুদের জন্য হয়। এখানে যাঁরা নিজেদের সংখ্যাগুরু দাবি করছেন, তাঁদেরই জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে। বরাক, পার্বত্য জেলা ও বড়োভূমিতে স্থানীয় ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুস্মিতার প্রশ্ন, “তবে কি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অ-অসমিয়ারা নিজেদের ভাষার অধিকার পাবেন না?”
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের সভাপতি নীতীশ ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৬০ সালের অপপ্রয়াস আবার চোখে পড়ছে। অন্য রূপে, অন্য আঙ্গিকে। ১৯৬০-এও অ-অসমিয়াদের ভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। অধ্যাপক দিলীপকুমার দে বলেন, “এই কমিটি যে সব সুপারিশ করেছে, সেগুলি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের পরিপন্থী।”
পৃথক বরাকের দাবিতে যাঁরা বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কথায়, “পৃথক বরাকের দাবিকে প্রকাশ্যে আনার এটাই উপযুক্ত সময়। এখনই পথে নামতে হবে, বৃহৎ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
এই অঞ্চলের বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য এই সব সুপারিশকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ ভাবে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার অর্থই হল, এর কোনও ভিত্তি নেই। তবু বরাকের স্বার্থবিরোধী কোনও সিদ্ধান্ত যেন না-নেওয়া হয়, সে ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে রাখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy