রাঁচির বাসিন্দা প্রফুল্ল ভগতকে অপহরণের পিছনে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার কোনও দুষ্কৃতী দল জড়িত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এমনই মনে করছে রাঁচির পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার (সদর) জয়া রায় আজ জানান, একাধিক বার প্রফুল্লর জন্য মুক্তিপণ চেয়ে রাঁচিতে ফোন করা হয়েছিল। সব ক্ষেত্রেই ফোনের ‘টাওয়ার লোকেশন’ ছিল উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর, বারাসত, বিরাটি, বেলঘরিয়ার মতো জায়গা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় ধৃত সানি ওঁরাওয়ের সঙ্গে ওই সব এলাকার দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ রয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, সানি ও প্রফুল্ল দু’জনই কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে বেহুঁশ অবস্থায় ভর্তি ছিল। মুক্তিপণের জন্য যে মোবাইল ফোন থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল, সেটি ছিল সানিরই। কী করে সানির ফোন থেকে মুক্তিপণের জন্য ফোন করা হল, তা জানতে সানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ দিন কলকাতার ওই হাসপাতাল থেকে দু’জনকে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যায় সেখানকার পুলিশ। লালবাজারের এসটিএফ বিভাগের সাহায্যে গত কাল এনআরএস হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয় রাঁচির সিএমপিডিআই কর্মী রামদেব ভগত ও বাসন্তীদেবীর ১০ বছরের ছেলে প্রফুল্লকে। পুলিশ জানিয়েছে, সানির সঙ্গে ভগত পরিবারের পুরনো যোগাযোগ ছিল। ২০১২ সালে সানি ভাড়া থাকত প্রফুল্লদের বাড়িতে।
প্রফুল্লর বড় দাদা দীপক আজ জানায়, ভাইকে সানির বাইকে চড়ে সে যেতে দেখেছিল। কিন্তু তাকে যে অপহরণ করা হবে তা বুঝতে পারেনি। ১৯ এপ্রিল গোণ্ডা থানায় ভগত পরিবারের তরফে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, দু’জন কী করে একই সঙ্গে বেহুঁশ হল, কী ভাবে সানির ফোন থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়, কারা প্রফুল্লের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল— সে সব রহস্যের জট খুলতে হবে।